আর যদি বাংলাদেশের জন্ম না হতো তাহলে কোনো বাঙালি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা হতে পারতেন না। পুলিশ কর্মকর্তাও হতে পারতেন না।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজবাড়ী জেলা সদরের সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সুধী সমাবেশ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তিলে তিলে এই বাংলার মানুষকে স্বাধীনতাকামী করেছিলেন। শুধু একদিনের ডাকে বাংলাদেশের উৎপত্তি ঘটেনি। বঙ্গবন্ধু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের ১৯৪৮ সাল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তিনি যখন বুঝেছিলেন যে বাংলাদেশের ৭ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ। ঠিক তখনই তিনি ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। ৭ মার্চের সেই ভাষণের চেয়ে বড় ডিপ্লোম্যাটিক ভাষণ পৃথিবীর আর কোনো নেতা দিতে পেরেছেন কিনা আমি জানি না। আর ভবিষ্যতে দিতে পারবেন বলেও আমি বিশ্বাস করি না।
ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে অগ্নিকন্যা খালেদা জিয়া জামাত-শিবির দিয়ে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন। মাঝে মাঝে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য হঠাৎ করেই তারা একটা করে বোমা মারেন। খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলতে চাই- ওই ঢিল মেরে কিছু করতে পারবেন না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলার ১৬ কোটি মানুষকে একত্রিত করে জিরো টলারেন্সের মাধ্যমে বাংলার মাটি থেকে জঙ্গিবাদকে উৎখাত করতে যে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়েছেন, তা দেখে সারা পৃথিবীর মানুষ আমাদের ধন্যবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জোদ্দার।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা নূরমহল আশরাফী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার মিয়া, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলীর স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, কন্যা কানিজ ফাতেমা চৈতি, সুলতানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. জুলকার শাহিন, প্রধান শিক্ষক লিটন কুমার নাথ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
আরআইএস/এমজেএফ