ঢাকা, বুধবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঢাবি অ্যাকাউন্টিং অ্যালমনাইদের পুনর্মিলনী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
ঢাবি অ্যাকাউন্টিং অ্যালমনাইদের পুনর্মিলনী স্মৃতি রোমন্থনে ঢাবি অ্যাকাউন্টিং অ্যালমনাইদের পুনর্মিলনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ১৯৮১ সালের সেমিস্টার পদ্ধতির প্রথম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন মইনুল হক। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে যোগ দেন বেসরকারি ব্যাংকে। বর্তমানে অবসর নিয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বিভাগের পুনর্মিলনীতে এসে পুরনো বন্ধুদের খুঁজছিলেন। পেয়েও গেছেন অনেক বন্ধুদের।

পরে তাদের সঙ্গে আড্ডা-গল্পে স্মৃতি রোমন্থনে মিলিত হন।

এসময় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিগুলো অনেক মধুর। এ ধরনের প্রোগ্রামে আসলে আবেগ চলে আসে। বিভাগের অনেক বন্ধুদের পেয়েছি পুনর্মিলনীতে এসে যাদের সঙ্গে খুব কমই মিলিত হওয়ার সুযোগ হয়।
 
পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে এভাবে স্মৃতি রোমন্থনের সুযোগ করে দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাউন্টিং বিভাগ অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশান আয়োজন করে দশম ‍পুনর্মিলনী। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন আর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
 
এরপর টিএসসি মিলনায়তনে বক্তব্য রাখেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, বিএসিআই এর সভাপতি ড. হারুনুর রশিদ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক শান্তি নারায়ণ দাস ও বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির প্রেসিডেন্ট হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
 
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আমাদের সময়ে আজ সবচেয়ে বড় সঙ্কট হলো মানব-সম্পর্কের। তাই আমাদের মাঝে সম্পর্ককে সজীব করার জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেককে মানবতাবোধের চেতনায় এগিয়ে যেতে হবে। এ শিক্ষাটা দিতে হবে পরিবার থেকেই। মানব-সম্পর্ক ও মানবতাবোধের অভাবেই আজ পৃথিবীতে এতো হামলা ও অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তাই আমাদের প্রত্যেককে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।
 
তিনি আরো বলেন, অ্যাকাউন্টিবিলিটি শুরু হয় জবাবদিহিতা থেকে। তাই আমাদের প্রত্যেককে জাবাবদিহিতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে নিজের বিবেকের কাছে জবাবদিহিতার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই। আস্তে আস্তে সমাজকে জবাবদিহিতার পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
 
অনুষ্ঠানে বিভাগের কয়েকজন প্রাক্তনদের তাদের কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য এচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। দিনব্যাপী অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৭
এসকেবি/এসআরএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।