শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে একটি ও ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয় বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এরপর রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আরেকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম আলমগীর হোসেন। তিনি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তার গাড়ির চালক বলে জানা গেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
স্প্লিন্টারের আঘাতে বাকিদের মধ্যে আহত একজন মহিয়ান মঞ্জু (২৭)। পাবনা থেকে শুক্রবার তিনি ঢাকায় আসেন। বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় তিনি ওই এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন।
আহত মহিয়ান বাংলানিউজকে জানান, শুটিংয়ের কাজে কাঁচপুর যাবেন। বিস্ফোরণে স্প্লিন্টার এসে হাতে লাগে। এ সময় মহিয়ানের হাত দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা যায়। এদিকে বিস্ফোরণ ঘটনোর পর ঘটনাস্থলের দু’ থেকে তিনশ’ গজ দূরে রাস্তায় স্প্লিন্টার ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় এর তীব্রতায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাদো রংয়ের একটি গাড়ির কাচ ভেঙেছে বলে জানা গেছে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া দু’জন আহতের বিষয়টি শুনেছেন বলে জানান।
যদিও বোমা বিস্ফোরণের আগে ডিবির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশ বন্ধ করে দিয়ে পথচারীদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে অনুরোধ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭/আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা
এজেডএস/এসজেএ/জেডএস