শুক্রবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মরদেহটি ঢামেক হাসপাতালে পৌঁছে বলে মর্গ সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে রাত দেড়টার দিকে বিমানবন্দর থানার একটি ভ্যানে করে মরদেহ নিয়ে রওনা হন বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম।
বিস্ফোরণের ঘটনা ‘কোনো হামলা নয়’ বলে ধারণার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেছেন, দেখে মনে হচ্ছে, এটা হামলা নয়। নিহত ব্যক্তি ট্রলি ব্যাগে (ট্রাভেল ব্যাগ) করে বোমা বহন করছিল। তবে পুলিশের ব্যাপক অবস্থান দেখে অতি সতর্কতাবশতঃ বোমাটি বিস্ফোরণ হয়ে গেছে।
ওই ঘটনার পর হামলাকারীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে অবিস্ফোরিত তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বোমাগুলো বিস্ফোরণ করা হয়। এ সময় এক কনস্টেবলসহ মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গোলচত্বর সংলগ্ন উত্তরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে দু’টি বক্সের মাঝখানে বিস্ফোরণটি ঘটে।
বিস্ফোরণস্থর পরিদর্শন শেষে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, দেখে মনে হচ্ছে এটি কোনো হামলা নয়। তবে নিহত ব্যক্তি বোমা ক্যারি (বহন) করছিল। কিন্তু কেন-কোথায় নিয়ে যাচ্ছিল সেটা জানা যায়নি।
নিহত ব্যক্তির পরনে জিন্স প্যান্ট ও ফুল হাতার শার্ট ছিল উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, তার পেটের বাম পাশে বোমা বাঁধা ছিল। সে কারণে বিস্ফোরণে পেটের বাম পাশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
নিহত ব্যক্তির পরিচয় কী তা এখনও জানা যায়নি, তবে তার বয়স আনুমানিক ৩০-৩২ বছর। ওই ব্যক্তির পরিচয় তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এজেডএস/জেডএস