শুক্রবার (২৪ মার্চ) দিনগত রাতে সরেজমিন দেখা যায়, আল-আমিন নামের ওই রেস্তোরাঁর কাচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। স্প্লিন্টারের আঘাতে সিলভারের হাড়িতে বড় বড় ছিদ্র হয়েছে।
শুধু তাই নয়, হোটেলে খাবার সাজিয়ে রাখা গ্লাস ঘেরা লম্বা ফ্রিজ চুরমার হয়ে গেছে। স্প্লিন্টারের আঘাতে এমন কিছু নেই যার কোনো ক্ষতি হয়নি। হোটেলের সামনে পড়ে রয়েছে বিভিন্ন স্প্লিন্টার।
হোটেল মালিক শেখ ফজলুল হক বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ বক্সের পেছনে তার দু’টি হোটেল আছে। হামলার ঘটনার সময় হোটেলের সামনে এক বন্ধুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলাম। হঠাৎ একটি আওয়াজ শুনতে পাই। ভেবেছিলাম কোনো গাড়ির চাকা বিস্ফোরণ। পরে পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে দেখতে পাই এক যুবক পরে আছে তার পেট ছিন্নবিচ্ছিন্ন। পুলিশ এসে সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলে।
তিনি বলেন, হামলাকারীর পাশ থেকে উদ্ধার করা অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণ ঘটলে তাতেই হোটেলের ক্ষতি হয়। এতে তার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর গোলচত্বর সংলগ্ন উত্তরা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারী নিহত হন। পরে সেখান থেকে কয়েকটি অবিস্ফোরিত বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার সময় এক কনস্টেবলসহ ৬ জন আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৭
এজেডএস/জেডএস