এছাড়া আসামিদের ৭ বছর করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহারের আদালত এ আদেশ দেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, ভুট্রু মিয়া ও রতন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-গোলজার হোসেন ও শাহীন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন ও ভুট্রু মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আর রতন, গোলজার ও শাহীন প্রথম থেকেই পলাতক। তবে পরাগ, আলমগীর হোসেন ও ভুট্রু মিয়া জামিনে থাকলেও ৫ মার্চ যুক্তিতর্ক শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত কারাগারে পাঠান।
আসামিরা আগামী ৭ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি সুইট রায়ের তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সবজি ব্যবসায়ী নিহত মনির হোসেন সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মুসারচর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে স্থানীয় আতাউল হামিদ পরাগ, আলমগীর হোসেন, ভুট্রু মিয়া, রতন, গোলজার হোসেন ও শাহীনের হাতে ২০০৭ সালের ১৮ জুন রাতে নির্মমভাবে খুন হন।
জানা যায়, তারা মনির হোসেনকে ডেকে নিয়ে একটি মাঠে ছুরিকাঘাত করে পেট ফুঁড়ে পার্শ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দেয়। এরপর গুমের জন্য কচুরিপানা দিয়ে মরদেহ ঢেকে রাখে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে আদালত।
নিহতের ভাই কবির হোসেন জানান, ঘটনার পর আমরা একটি নিখোঁজ ডাইরি করি। পরে সিআইডি ও ডিবির সহযোগিতায় আসামিদের গ্রেফতার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২৭
জেডএস