আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রোববার (০২ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে কর্পোরেশন ভবনের গেটে ময়লার গাড়ি রেখে প্রধান দু’টি গেটে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
পাশাপাশি ভবনের মূল প্রবেশপথের গেটটি আটকে দিয়ে তার সামনে বসে লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, মেয়র আহসান হাবিব কামাল কয়েকজন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে কর্পোরেশনে আসবেন এমনটি শোনা যাচ্ছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা না বলে তিনি কর্পোরেশনে কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না। সে জন্যই মূল গেটের সামনে ময়লার গাড়ি ও ভবনের প্রবেশদ্বার আটকে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আন্দোলনকারী বিসিসি’র পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র লাল জানান, নিয়মিত-অনিয়মিত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বকেয়া পরিশোধ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আর কোনো আশ্বাস নয়, এবার বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, শনিবার (০১ এপ্রিল) মেয়র সংবাদ সম্মেলনে আগের মেয়রের সময়ের ৩ মাসের বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন, তা সঠিক নয়। আবার গুটি কয়েক কর্মচারীকে ভয় দেখিয়ে আন্দোলনে বাধ্য করছে সে কথাও সঠিক নয়।
এদিকে আন্দোলনের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে মেয়র কর্পোরেশনে যেতে না পারলেও সোমবার সকাল ৯টায় কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বেলা ১২টা পর্যন্ত তিনি আসেন নি।
এদিকে শনিবার বিকেলে মেয়র আহসান হাবিব কামাল বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরকে নিয়ে নগরের কালুশাহ সড়কে তার নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, রোববারের মধ্যে যদি পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজে যোগদান না করেন তাহলে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা নতুনভাবে কর্মচারী নিয়ে স্ব-স্ব ওয়ার্ড পরিচ্ছন্নের কাজে নেমে পড়বেন। সার্বিক বিষয় নিয়ে তিনি ৩৫ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নিয়ে সভা করেছেন। ওই সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এমএস/জেডএস