রোববার (০২ এপ্রিল) দুপুরে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এনামুল হাবিব বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট উপ-সচিব মো. মাহমুদুল আলম কর্তৃক সিলেট সিটি করপোরেশনে একটি ফ্যাক্স বার্তা পাঠানো হয়েছে।
ওই বার্তায় বলা হয়েছে, আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মামলা- ৪/২০০৯ এর সম্পূরক অভিযোগপত্র গত ২২ মার্চ আদালতে গৃহীত হয়েছে। সেহেতু সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে স্থানীয় সরকার বিভাগ আইন ২০০৯ এর ১২ উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টার মামলার চার্জশিটে আরিফুল হক চৌধুরীর নাম থাকায় তাকে আবারও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
দীর্ঘ ২৭ মাস পর সিলেট সিটি করপোরেশনে (সিসিক) মেয়রের চেয়ারে ফেরেন আরিফুল হক চৌধুরী।
মামলার জেরে বরখাস্ত-আদেশের জটিলতা কাটিয়ে রোববার (০২ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি মেয়রের চেয়ারে বসেন। এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে বরণ করে নেন।
এর আগে, বিএনপি দলীয় এ মেয়রকে নেতাকর্মীরা নগরীর কুমারপাড়াস্থ বাসা থেকে শোডাউন দিয়ে সিটি করপোরেশনে নিয়ে আসেন।
২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।
এরপর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি হিসেবে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর আরিফুল হককে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলা চলতে থাকার প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
এরপর তিনি ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে সেই বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে দেন হাইকোর্ট। এরপর গত ২৩ মার্চ সেই আদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও।
ফলত গত ৩০ মার্চ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. মাহমুদুল আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে আদালতের আদেশের যথাযথ প্রতিফলনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
এ পত্র প্রাপ্তির তিন দিন পর আরিফুল হক চৌধুরী মেয়রের চেয়ারে বসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭
এনইউ/এসএনএস