রোববার (০২ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতীয় সেনাপ্রধান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তার সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, সরকারের প্রধান কাজ দারিদ্র্য বিমোচন এবং সন্ত্রাস নির্মূল করা।
নিউক্লিয়ার পাওয়ারের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের প্রশংসা করেন ভারতীয় সেনাপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনার নেতৃত্বে স্থীতিশীল বাংলাদেশ দেখে আমরা খুশি।
দুই দেশের মধ্যে চলমান যৌথ সাইক্লিং অভিযানের কথা উল্লেখ করে জেনারেল রাওয়াত বলেন, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান।
বাংলাদেশ ও ভারতীয় সেনা বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সমান মর্যাদা উল্লেখ করে ভারতীয় সেনা প্রধান বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে গুরুত্ব দেই। প্রতিটি বিষয় আমরা সমান উচ্চতায় থেকে ঠিক করি।
তিনি বলেন, বিদ্যমান সুসম্পর্ক নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারি।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মাহফুজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
প্রধানমন্ত্রীর এই সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে তিনদিনের সফর শেষ করেন তিনি। বিকেল ৫টার দিকে বিমান বাহিনীর কুর্মিটোলা বঙ্গবন্ধু ঘাঁটি থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকা ছেড়ে যান।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লজিস্টিকস এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান ভারতীয় প্রতিনিধি দলটিকে বিদায় জানান।
ঢাকা ছাড়লেন ভারতীয় সেনাপ্রধান
অটিস্টিকদের স্বাভাবিক শিশুর সঙ্গে মিশতে দিন
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৭/আপডেট ২২০০ঘণ্টা
এমইউএম/আইএ