জমিতে থাকা কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। পানি দ্রুত নিষ্কাশন না হলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব মতে, জেলার হাওর বেষ্টিত নাসিরনগর ও সরাইল এবং সদর উপজেলার অন্তত দু’হাজার বিঘা (২৫০ হেক্টর) জমির কাঁচা ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। মেঘনা নদীর পানি ও উজান থেকে বৃষ্টির পানি নেমে আসায় নাসিরনগর উপজেলার লঙ্গন নদী সংলগ্ন হাওর এলাকার প্রায় দেড় হাজার বিঘা (২০০ হেক্টর) জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া তিতাস নদী সংলগ্ন সদর উপজেলার প্রায় তিনশ’ বিঘা (৪০ হেক্টর) ও সরাইল উপজেলার প্রায় ৭৫ বিঘা (১০ হেক্টর) জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আবু নাছের বাংলানিউজকে বলেন, তিন উপজেলার তলিয়ে যাওয়া প্রায় দু’হাজার বিঘা বোরো ধানের জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ওপর কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তালিকা প্রস্তুতের কাজ চলছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
আরবি/