ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ক্ষতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে হয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
ক্ষতি বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে হয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বৈঠক। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: জঙ্গি দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যকারীদের ‘অর্বাচীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বাংলাদেশে যে কাজই করেন, কিছু লোক আছে তারা কিন্তু খুঁত খুঁজে বের করে।

তিনি বলেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোন জায়গায় কোন ধরনের অপারেশন চালাবেন, সেখানকার আশেপাশের লোক, কারো কোন ক্ষতি যতে না হয় সেটা বিবেচনা করে পদক্ষেপ নিতে হয়।

বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির প্লটের বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন- একজন বললো, হলি আর্টিজানে এতো অল্প সময়ে হলো, অমুক জায়গায় এতো সময় লাগলো কেন। এদের কথাগুলো এমন, আমার তো মনে এদের মতো অর্বাচীন আর কেউ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘটনার গুরুত্ব, অবস্থান, অপারেশন চালাতে গেলে কি কি করণীয় এই জিনিসটাই তাদের মাথায় ঢুকে না। তারা একটার সঙ্গে আরেকটাকে তুলনা করে সমালোচনা করে দেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোথায় আরো সাধুবাদ দেবে, ধন্যবাদ জানাবে যে এরা (জঙ্গি) ধরা না পড়লে কত বড় অঘটন ঘটতো। তা না করে এটা হলো না কেন? ওটা হলো কেন? মনে হয় তারাই সব এক্সপার্ট হয়ে গেছে। আমার মনে হয় এরকম যারা বলবে তাদের এনে পোশাক পরিয়ে বলতে হবে, আপনারা নামেন এখন আমাদের সাথে। দেখি বুদ্ধি দেন। তাছাড়া কোন উপায় নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার খারাপ লাগে, এই যে দিনরাত পরিশ্রম করা, তিন চারদিন, দুই দিন, সব সময় একটা চাপ মাথায় নিয়ে কাজ করা। এই জিনিসগুলোকে সমাধান করা।

নিন্দুকদের বক্তব্যে কারো যেন মন খারাপ না হয় সে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যার যার দায়িত্ব সে সে বোঝে কি করতে হবে। যাদের দায়িত্ব নেই তারা অনেক কিছুই বলতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু রাষ্ট্র পরিচালনা করছি, আমরা জানি কোথায় কি করতে হবে। আপনাদের কার কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে। আমাদের কাছেই তো জবাবদিহি করতে হবে। আমরা এর গুরুত্বটা বুঝি।

সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশ সারা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পেরেছে। ’

তিনি বলেন, এটা আপনারা নিশ্চয় খেয়াল করেছেন। অন্যান্য জায়গায় দেখা যায় ঘটনা ঘটার পরে অপরাধীদের ধরে বা যা কিছু করে। এমনকি আমাদের উন্নত দেশগুলোতেও দেখলাম, ঘটনা ঘটার আগে যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে যাচ্ছে বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তাদের এখন পর্যন্ত ধরতে পারেনি। এই দৃষ্টান্ত আমরা বাংলাদেশে দেখাতে পেরেছি।

পুলিশের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার কর্মঘণ্টা আছে। একমাত্র পুলিশের কর্মঘণ্টা নেই। যখন ডাক পড়বে তখনই যেতে হবে। দিন নাই রাত নেই কাজ করতে হয়। এই কঠিন দায়িত্ব যারা পালন করবে তাদের ভালো মন্দ দেখা আমাদেরও কর্তব্য। সেদিক বিবেচনা করেই যা যা প্রয়োজন সব করে যাচিছ।

পুলিশ সদস্যদের আবাসন সমস্যা নিরসনে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় শহরে, জেলায় জেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৭
এমইউএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।