সংস্কার যা হয়েছিলো তাও ধুয়ে মুছে গেছে বৃষ্টিতে। তাতে লাল মাটি বের হয়ে সৃষ্টি হয়েছে কাদা।
বুধবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে নেত্রকোণার শ্যামগঞ্জ থেকে পূর্বধলার এই সড়ক পথে তিনি যাচ্ছিলেন। কাছে ধারে যারা ছিলেন, তারা জানালেন এতে রীতিমতো অস্বস্তিতেই পড়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর ফিরতি পথে আর এই সড়ক নয় মন্ত্রী ধরতে বাধ্য হন বিকল্প পথ।
ময়মনসিংহ থেকে সড়কপথে নেত্রকোণার পূর্বধলার জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। এই পথে ময়মনসিংহ থেকে শ্যামগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছাতে আধাঘণ্টা লাগলেও শ্যামগঞ্জ থেকে পূর্বধলা পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের পথ যেতে সময় লেগে যায় প্রায় দেড় ঘন্টা!
অবশেষে নিধারিত সময়ের অনেক পরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে মন্ত্রী উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ফটো গ্যালারি।
স্থানীয়রা জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেত্রকোণা সফরকে ঘিরে সড়কের কিছু অংশে সংস্কারও হয়েছিলো। স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) সে সংস্কার কাজ চালায়। কিন্তু সে সংস্কার ছিলো এতই দায়সারা যে তা বৃষ্টিতে ধূয়ে মুছে যায়।
ঘনিষ্ঠদের একজন বললেন, একবার ওই পথে গিয়ে মন্ত্রীর শিক্ষা হয়ে গেছে। আর সে কারণে সন্ধ্যায় ঢাকায় ফেরার পথে বিকল্প পথ বেছে নেন তিনি। সঙ্গে তার গাড়ি বহরের সদস্যরাও ফেরেন ঘুর পথে। এসময় তারা পূর্বধলা থেকে নেত্রকোনা হয়ে সেখান থেকে হাইওয়ে ধরে ময়মনসিংহে পৌঁছান।
মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মনিরুজ্জামান মনির বাংলানিউজকে জানান, সড়কটির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যদের কাছে জানতে চান কেন এই বেহাল দশা।
এমপি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, একনেকে এ সড়কটির নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ৩’শ কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। দরপত্রও আহবান করা হয়েছে। শিগগির এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এ সড়কটি হাইওয়েতে উন্নীত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলেও এসময় এমপি ওয়ারেসাত জানান।
বাংলাদেশ সময় ২১৩৯ ঘন্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৭
এমএএএম/এমএমকে