সংশ্লিষ্টরা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেনটি চালু হলে খুলনাবাসী বেনাপোল স্থলবন্দর হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টায় যেতে পারবেন কলকাতায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় বেনাপোলে স্থলবন্দরে খুলনা-কলকাতার মধ্যে পরীক্ষামূলক আন্তঃদেশীয় ট্রেনটি নয়াদিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উদ্বোধন করবেন।
বেনাপোল স্টেশন থেকে রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক এ ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানের পর ট্রেনটি কলকাতা যাবে এবং রোববার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে কলকাতা থেকে খুলনায় ফিরে আসবে। খুলনা রেলস্টেশনে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে রাখা সাদার মাঝে লাল-সবুজ রেখা টানা বগিকে সাজানো হচ্ছে নববধূর রূপে। বিভিন্ন ধরনের ফুল ও রঙিন কাপড় দিয়ে সাজানো হচ্ছে ট্রেনটির ইঞ্জিনসহ পাঁচটি বগিকে।
বেনাপোল রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার খাইরুজ্জামান শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, খুলনা থেকে কলকাতা প্রায় ১৭৮ কিলোমিটার। খুলনা থেকে যশোর এক ঘণ্টা, যশোর থেকে বেনাপোল এক ঘণ্টা। আর বেনাপোল থেকে কলকাতা দেড় ঘণ্টা।
খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেন চালু হলে খুলনার মানুষ মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় কলকাতায় যেতে পারবেন।
খুলনা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার কাজী আমিরুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, পাঁচটি বগি ও একটি ইঞ্জিন নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি শনিবার সকাল ৮টায় যাত্রা শুরু করবে। তবে উদ্বোধনী এ ট্রেনে কোনো সাধারণ যাত্রী থাকবেন না। থাকবেন পদস্থ কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি কলকাতায় যাতায়াত শুরু করবে। এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেন চালু হওয়ার সংবাদে উচ্ছ্বসিত খুলনাসহ গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা।
মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে রোগী, পর্যটক, ব্যবসায়ী কলকাতায় পৌঁছাতে পারবেন। এতে দু’দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেরও সম্প্রসারণ ঘটবে। বাড়বে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল০৭, ২০১৭
এমআরএম/এএটি/এএ