ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মুখস্ত করার দরকার নেই, আনন্দ নিয়ে পড়লেই মনে থাকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
মুখস্ত করার দরকার নেই, আনন্দ নিয়ে পড়লেই মনে থাকে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বক্তব্য দিচ্ছেন। ছবি: রানা-বাংলানিউজ

ঢাকা: লেখক, শিক্ষাবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, কষ্ট করে মুখস্ত করার দরকার নেই।

আনন্দ নিয়ে পড়লে এমনিতেই পড়া মনে থাকে। তাই আনন্দ নিয়ে পড়তে হবে।


 
জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৭ এর চূড়ান্ত পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে (কেআইবি) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ২শ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
 
জাফর ইকবাল বলেন, পুরস্কার পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা নয়। প্রতিযোগিতা হচ্ছে নিজেকে যাচাই করার জন্য। তাই পুরস্কার পাওয়ার মধ্যে আনন্দ নেই। পুরস্কার দেওয়ার মধ্যে আনন্দ। যেমন ধরো, আমি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার পাইনি। তবে এখন হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে পুরস্কার দিই। তাই আনন্দ নিয়ে পড়, একদিন তোমরাও পুরস্কার দেবে। তখন অনেক আনন্দ পাবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য দিচ্ছেন।  ছবি: রানা-বাংলানিউজ
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবী পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক ভালো করার সুযোগ রয়েছে। তবে জিপিএ পাঁচ পাওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়া কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এগিয়ে যেতে পারে, তাই স্কুল পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে প্রোগ্রামিং অনেক গুরত্বপূর্ণ।

এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার-২০১১ সাল থেকে আইসিটি বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
 
তিনি বলেন, সিলিকন ভ্যালির মতো আমাদের দেশে ২৮টি আইসিটি পার্ক হচ্ছে। যেখানে আগামী ১০ বছরের মধ্যে ২০ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। আর দেশের এক লাখ ৭০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে চার কোটি ২৭ লাখ শিক্ষার্থী। এ শিক্ষার্থীদের একটি অংশও যদি আইসিটিতে দক্ষ হয়, তবে উন্নত দেশে পরিণত হতে বেশি সময় লাগবে না।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব স্কুলে কম্পিউটার ল্যাব নেই, সেসব স্কুলে খুব দ্রুত ল্যাব করে দেওয়া হবে। আর যেসব স্কুলে ল্যাব আছে কিন্তু ক্লাব নেই, সেখানে আইসিটি ক্লাব গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।

এছাড়া খুব শিগগিরই দেশের দুই হাজার ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক সঙ্গে কোডিং-প্রোগ্রামিংয়ের আয়োজন করে বিশ্ব রেকর্ড করা হবে।
 
তিনি মিলনায়তনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, বড় প্রোগ্রামার হয়ে কি বিদেশ চলে যাবে? সমস্বরে খুদে প্রোগ্রামাররা বলে ওঠে, না।
 
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
ইইউডি/আরআইএস/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ