এ বন্দরটি দিয়ে রেলপথ ও সড়ক পথে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম খুব সহজেই করা যাবে।
আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হলে এ স্থলবন্দর থেকে আয় হবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
শনিবার (০৮ এপ্রিল) সকালে বিরল-রাধিকাপুর স্থলবন্দর উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মোছাদ্দেক হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিরল স্থলবন্দরটি চালু হওয়ার সংবাদে খুশির জোয়ার বইছে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এ বন্দরটি দিয়ে রেল ও সড়ক পথে দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, নেপাল ও ভুটানের মতো দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু হলে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।
স্থানীয় যুবক শুভ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিরল স্থলবন্দর চালু হওয়ায় বেকার যুবকদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। দীর্ঘদিন বেকার থাকা যুবকরা এখানে বিভিন্ন কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় খুশি। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পথ খুলে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক ধন্যবাদ।
গত ২০০৫ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থল-বাণিজ্য উন্নতির উদ্দেশ্যে ভারত সরকার রাধিকাপুর পর্যন্ত মিটার গেজ থেকে ডুয়েল গেজ স্থাপন করে ব্রডগেজে রূপান্তর করে। কিন্তু বিরল বন্দরের চকশংকরপুর থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ না থাকায় ২০০৫ সালেই নেপাল-ভুটান-ভারতের সঙ্গে বিরল স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
আরআইএস/এসএনএস