শনিবার (০৮ এপ্রিল) দিল্লিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্রিনলাইন পরিবহনের এ মৈত্রী বাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
এদিকে শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব চন্দন কুমার দে’র নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি মৈত্রী বাস নিয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পৌঁছেছে।
এর আগে সন্ধ্যায় মৈত্রী বাসটি বেনাপোল চেকপোস্টে এসে পৌঁছালে বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কর্মকর্তারা প্রতিনিধি দলকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানান। পরে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে প্রতিনিধি দল মৈত্রী বাস নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন।
জানা যায়, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) পক্ষে সৌহার্দ্য এ বাস সার্ভিসটি এবার বাংলাদেশের পরিবহন সংস্থা গ্রিনলাইন পরিবহন পরিচালনা করবে।
চন্দন কুমার দে বেনাপোল চেকপোস্টে সাংবাদিকদের বলেন, ভারত আমাদের পরম বন্ধুরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। দুই দেশেই আমাদের অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। এছাড়া রোগী ও বৃদ্ধরা সরাসরি যেন মৈত্রী বাসে করে কলকাতায় চিকিৎসাসহ সব কাজে সুবিধা পান সেজন্য এ পরিষেবা বাড়ানো হলো।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি শনিবার দিল্লি থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বাস সার্ভিস উদ্বোধন করবেন। এর পরপরই কলকাতার সল্টলেক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু হবে এ বাস সার্ভিসের। আমরা আশা করবো গ্রিন লাইন সে সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবে।
এ রুটে শ্যামলী পরিবহনের মৈত্রী বাস ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা এবং ঢাকা-বেনাপোল-কলকাতা ও আগরতলার মধ্যে সরাসরি যাতায়াত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
জেডএইচ/জেডএস