শুক্রবার (০৭ এপ্রির) প্রফেসর জেফ উইলসনের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আর্মি ওয়ার কলেজের ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন পরিদর্শনের সময় স্বাগত ভাষণে একথা বলেন মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অব্যাহত সুনামের পরিপ্রেক্ষিতে এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রতিবছরই ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ মিশন পরিদর্শনে আসেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে প্রদত্ত ভাষণের ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ অংশ উদ্বৃত করে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স বলেন, জাতির পিতার এ ঘোষণাই আমাদের বৈদেশিক সম্পর্কের মূলনীতি।
উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি আরও বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে মহান স্বাধীনতা। তার প্রদর্শিত পথ ধরে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গভীরভাবে সম্পৃক্ত থেকে বাংলাদেশ বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের রয়েছে উষ্ণ দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আন্তরিকতাপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সমঝোতা অটুট রেখেছি। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ আজ একটি বিশ্বস্ত নাম।
চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা দমনে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরেন। এছাড়া বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে মর্মে তিনি তার স্বাগত ভাষণে জানান।
ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারুজ্জামান প্রতিনিধিদলকে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা ও বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
চমৎকার আয়োজন ও আতিথেয়তার জন্য ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ মিশনকে ধন্যবাদ জানান। পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ মিশনকে নির্বাচিত করায় উপস্থায়ী প্রতিনিধি ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজের প্রতিনিধিদলকেও ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
জেডএস