ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মৌচাক-মালিবাগ এখন দুর্ভোগের নাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
মৌচাক-মালিবাগ এখন দুর্ভোগের নাম দুর্ভোগের নাম মৌচাক-মালিবাগ। ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ

ঢাকা: সকাল কিংবা রাত। ব্যস্ততম এই নগরীর মানুষজন প্রয়োজনের তাগিদেই চলাচল করছে মৌচাক-মালিবাগ সড়কে। খানাখন্দ ও কা‍দাপানিতে মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে ফ্লাইওভারের নিচের সড়কটি। নির্মাণাধীন মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের কারণে রাজধানীর এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে এখন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লাইওভারের কাজের সঙ্গে সঙ্গে ফ্লাইওভারের নিচের সড়কটিও সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে ভয়াবহতম ভোগান্তি অপেক্ষা করছে নগরবাসীর জন্য।

 
 
মৌচাক-মালিবাগ সড়কের উপরে চলছে আট কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের কাজ। নিচে সড়ক ভেঙে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তার মাঝখানের বেশ খানিকটা অংশ দখল করে চলছে ফ্লাইওভারের গার্ডার প্রতিস্থাপনের কাজ। একই সঙ্গে সড়কের একদিকে ক্যাবল প্রতিস্থাপনের কাজ; অন্যদিকে, কাজ চলছে ড্রেনেজের। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।  
 
সরেজমিনে দেখা যায়, মালিবাগ রেলগেট থেকে মৌচাক পর্যন্ত একপাশের রাস্তা বন্ধ করে চলছে ক্যাবল সংযোগের কাজ। এ রাস্তার মধ্যভাগে চলছে গার্ডার প্রতিস্থাপনের কাজ। ওঠানামা করছে ভারী যন্ত্রপাতি। এ এলাকায় চলাচলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয়রা। দুর্ভোগের নাম মৌচাক-মালিবাগ।   ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ
মগবাজার মোড় থেকে ওয়ারলেস হয়ে মৌচাক মোড় পর্যন্ত সড়কে ড্রেনেজের ময়লা, কাদা জমে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফলে সড়কে জমে থাকা পানি কাদায় পরিণিত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা। ওয়ারলেস গেটের সামনে রাখা এসব ময়লা, দুর্গন্ধের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তার চারপাশে।

এদিকে, মৌচাক থেকে মালিবাগ হয়ে শান্তিনগরের দীর্ঘ সড়কটি একটু বৃষ্টি হতে না হতেই হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। এখনই যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে ভরা বরষা মৌসুমে কীভাবে চলাচল করবে নগরবাসী, সেটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এখনই ছোটখাটো কাজে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের।  
 
মগবাজার ওয়ালেসের বাসিন্দা শান্তা দুর্ভোগের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, শুকনো মৌসুমে ধুলাবালির জন্য বের হতে পারি না। আবার বরষার সময় কাঁদা পানিতে ভাসতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ভোগান্তিতে থাকলেও এ নিয়ে কারও মাথা ব্যথা রয়েছে বলে মনে হয় না।  
 
সিদ্ধেশ্বরী কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল মাহমুদ বলেন, ক্লাস থাকলেও কাদাপানির কারণে কলেজে যেতে ইচ্ছে করে না। দেশের মন্ত্রীদের যদি এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতো, তাহলে হয়তো তারা বুঝতে পারতেন আমরা কতো কষ্টে আছি। এখন কাদাপানিই আমাদের নিত্যসঙ্গী। দুর্ভোগের নাম মৌচাক-মালিবাগ।   ছবি: শাকিল-বাংলানিউজ
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে একদিকে প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে; অন্যদিকে, রাস্তা খোঁ‍ড়াখুড়িতে দুর্ভোগে পড়ছে নগরবাসী।  
  
মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি। খুব শিগগিরই অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।  

২০১১ সালের জানুয়ারিতে এলজিইডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আট কিলোমিটার দীর্ঘ এই মগবাজার-মৌচাক ফ্লা‍ইওভারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে কাজ শেষ করার প্রাথমিক টার্গেট থাকলেও নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে দু’ধাপে সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এএম/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ