ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে পুলিশের সোর্স খুনের ঘটনায় আটক ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
গাজীপুরে পুলিশের সোর্স খুনের ঘটনায় আটক ৩

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দেওলিয়াবাড়ি পেয়ারা বাগান এলাকায় পুলিশের সোর্স আল আমিন মোল্লা (২০) খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (০৮ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- দেওলিয়াবাড়ি পেয়ারা বাগান এলাকার আলম মিয়ার ছেলে মো. সজিব (২১), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ইসাইল পূর্বপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন (২০) ও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার কালেরভিটা উত্তর রাজিবপুর এলাকার রফিকুল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া (২০)।

আটক নাজমুল হোসেন দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় বছু মিয়া মাতাব্বরের ও রাসেল মিয়া একই এলাকার মুন্নি বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দেওলিয়াবাড়ি পেয়ারা বাগান এলাকায় আল-আমিনকে গলাকেটে খুন করে দুর্বৃত্তরা। নিহত আল-আমিন জামালপুরের মেলান্দহ থানার সাধুপুর এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে।


তিনি বলেন, এ খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার ভোরে  কালিয়াকৈর উপজেলার চাবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. সজিব, নাজমুল হোসেন ও রাসেল মিয়াকে আটক করা হয়। ঘটনায় জড়িত সুমন, রুবেল ও আমজাদ হোসেন পলাতক রয়েছে।

আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানায়, তারা ৬জন মিলে আল আমিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে খুন করে। গত কয়েকদিন আগে মো. আকাশ নামে একজনকে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে পুলিশ। পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য আকাশের মায়ের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয় মো. সজিব ও সুমন। পুলিশ আকাশকে আদালতে পাঠিয়ে দিলে টাকা ফেরত চায় তাদের দুজনের কাছে। পরে তারা ৬ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি ৪ হাজার টাকা আল আমিন নিয়ে গেছে বলে আকাশের মাকে বলে। পরে আকাশের মা আল আমিনকে জিজ্ঞাসা করলে সে টাকা নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে। এসময় নিহত আল আমিনের সঙ্গে মো. সজিব, ও সুমনদের ঝগড়া হয়।

এক পর্যায়ে শুক্রবার দুপুরে মোবাইলফোনে আল আমিনকে তারা ৬জন দেওলিয়াবাড়ি পেয়ারা বাগান এলাকায় মীমাংসা করার জন্য ডেকে নেয়। আল আমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে তারা পালিয়ে যায়।

নিহতের বড় ভাই মো. মিলন মোল্লা জানান, দেওলিয়াবাড়ি এলাকায় আব্দুর রহমানের বাড়িতে ছোট বোনের সঙ্গে ভাড়া থেকে স্থানীয় ডানো কারখানায় চাকরি করতো আল-আমিন। মাদকাসক্ত ছিল আল-আমিন। সে পুলিশের সোর্স হিসাবে কাজ করতো।

এএসআই আনোয়ার হোসেন আরো জানান, এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বাকি ৩ জনকে আটকের চেষ্টা চলছে।

**গাজীপুরে পুলিশের সোর্স খুন

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
আরএস/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ