সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে বৈঠকে হাসিনা-মোদি

হায়দ্রাবাদ হাউজ (নয়াদিল্লি) থেকে: বহুল কাঙ্ক্ষিত বৈঠকে বসেছেন নয়াদিল্লি সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বৈঠকের পর দুই নেতার অংশগ্রহণে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পর (বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১২টা) নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজের ডেকান সুইটে হাসিনা-মোদির একান্ত বৈঠকটি শুরু হয়। এরপর হায়দ্রাবাদ হাউজেরই কনফারেন্স হলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি হওয়ার কথা।

বৈঠকের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক টুইটে বলা হয়, ‘নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ’

সূত্রমতে, একান্ত ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে যাবেন ওই ভবনেরই বল রুমে। সেখানে একের পর এক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।

আগেই জানানো হয়েছে, অন্তত ৩৩টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে দুই দেশের মধ্যে। যার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বাড়বে। শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি সে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন। চুক্তি সই করবেন দুই দেশের সংশ্লিষ্টরা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়ে এসেছেন ছয় জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা কিংবা প্রতিমন্ত্রী। আরও রয়েছেন সচিব কিংবা সচিব পর্যায়ের আরও ২৫ কর্মকর্তা। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি এবং তাদের প্রতিনিধিরা সকালে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার গ্রহণের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা তার চারদিনের দ্বিপাক্ষিক সফরের দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতার পর প্রধানমন্ত্রী রাজঘাটে ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রবাদপুরুষ মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তারপরই দুই নেতা হায়দ্রাবাদ হাউজে যান।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর হায়দ্রাবাদ হাউজের হলরুমেই একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠান হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মজীবনী হিন্দিভাষায় অনূদিত হয়েছে। তারই প্রকাশনা উৎসবে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

দুপুরে নরেন্দ্র মোদির দেওয়া রাষ্ট্রীয় ভোজ। হায়দ্রাবাদ হাউজের ব্যনকয়েট হলে এই ভোজ আয়োজন করা হচ্ছে।

বিকেলে ভারতকে সম্মান জানানোর পালা। বেলা সাড়ে ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাবেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের সম্মাননা দিতে। মানেক শ সেন্টারে সে অনুষ্ঠানে শহীদদের মধ্যে কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। তাদের হাতেই শেখ হাসিনা তুলে দেবেন এই সম্মাননা।

সন্ধ্যায় ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির সঙ্গে দেখা করবেন শেখ হাসিনা। মাওলানা আজাদ অ্যাভিনিউতে উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবনেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আর তার মধ্য দিয়েই একটি ব্যস্ততার দিন শেষ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।