দিল্লির একটি বিশেষ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। পহেলা বৈশাখে উদ্বোধন হতে পারে- এমন সম্ভাবনা চাউর থাকলেও শেষ পর্যন্ত এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকা-কলকাতা রুটে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করেছিলো দুই দেশ। তারই পদেক্ষপ হিসেবে পুরো মৈত্রী ট্রেন এসিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এর আগে কিছু সংখ্যক ননএসি বগি ছিলো। এছাড়া বাড়ছে বগির সংখ্যা। ১০টি বগিতে এখন যাতায়াত করতে পারবেন সাড়ে চারশোর বেশি যাত্রী।
নতুন ট্রেনে থাকছে চারটি প্রথম শ্রেণীর এসি, চারটি প্রথম শ্রেণীর এসি চেয়ারকোচ ও দুটি এসি পাওয়ার কার।
ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সৌহার্দ্যের সম্পর্ক বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে নতুন এ চমক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের দ্বিতীয় দিনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী ট্রেন।
সূত্র জানায়, মৈত্রী ট্রেন নিয়ে দু’দেশ নানান ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ার পর যাত্রা আরও আরামদায়ক করতে, গতি বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে নতুন পদক্ষেপ। এছাড়া চেষ্টা চলছে ননস্টপ করার।
জানা যায়, এখন যাত্রাপথে দু’দেশের ইমিগ্রেশনে দীর্ঘ সময়ের বাধা কাটাতে ঢাকা স্টেশনেই (ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন) ইমিগ্রেশনের সব কাজ শেষ করার বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে। ইমিগ্রেশন শেষ হলে কোথাও না থেমে একেবারে কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশনে গিয়ে থামবে মৈত্রী এক্সপ্রেস।
একইসঙ্গে কলকাতা থেকে যারা ঢাকা যাবে তাদের ইমিগ্রেশনের সব কাজ সম্পন্ন করা হবে শিয়ালদহ স্টেশনে। ট্রেনে যেহেতু খাবারের পর্যাপ্ত সুবিধা আছে, সেহেতু এটা ননস্টপ হলেও অসুবিধা নেই। যাত্রাপথে ইমিগ্রেশনের জন্য যদি বাড়তি সময় ব্যয় না হয় তাহলে এখনকার নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাবে মৈত্রী ট্রেন।
এখন ভ্রমণকারীদের বাংলাদেশ অংশে দর্শনা ও ভারতীয় অংশে গেদে-তে ইমিগ্রেশনের কাজ সারতে হয়। এতে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাতে সময় লেগে যায় ১২-১৩ ঘণ্টা। ভারতের কোচগুলোতে আসন আছে প্রায় চারশোর কাছাকাছি। আর বাংলাদেশের কোচগুলোতে আসন তিনশোর কিছু বেশি। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহের ছয়দিন চলে মৈত্রী ট্রেন।
বাংলা নববর্ষের প্রথমদিন নতুন সুবিধার আধুনিক মৈত্রী ট্রেন উদ্বোধন হলে দুই দেশের সম্পর্কে যোগ হবে নতুন পালক।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এএ