ঢাকা, রবিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘আনসারুল্লাহ’র মুফতি বোর্ডের নির্দেশে সব ব্লগার হত্যা’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৭
‘আনসারুল্লাহ’র মুফতি বোর্ডের নির্দেশে সব ব্লগার হত্যা’ মনিরুল ইসলাম

ঢাকা: ‘২০১৫ সালের পর থেকে সর্বশেষ আলোচিত যে ব্লগার হত্যাকাণ্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে, তার সবগুলোই আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের মুফতি বা শরিয়া বোর্ডের নির্দেশে হয়েছে। হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে গ্রেফতারকৃত মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে আবদুল্লাহ জড়িত। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না’।

শনিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিসিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) রাতে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের (এবিটি) শরিয়া বোর্ডের সদস্য আবদুল্লাহকে গ্রেফতার করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দক্ষিণ) সদস্যরা।

আবদুল্লাহকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মনিরুল ইসলাম জানান, ২০০৭ সালে ফরিদাবাদ মাদ্রাসায় ভর্তির পর থেকে ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন আবদুল্লাহ। ২০১৪ সালে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের আরেক সদস্য আবু নাঈমের মাধ্যমে টিমে যোগদান করেন। পরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকার একটি বাসায় দেড়মাস সামরিক ও ‘জিহাদি’ প্রশিক্ষণ নেন। তিনি ২০১৫ সালের পর থেকে সংঘটিত ব্লগার হত্যাকাণ্ডগুলোর সঙ্গে জড়িত।

তিনি আরও জানান, ড. অভিজিৎ রায়, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়, নাজিমুদ্দিন সামাদ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর সত্ত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, জুলহাস মান্নান ও মাহবুবু তনয় হত্যাকাণ্ডের সবগুলো মুফতি বোর্ডের নির্দেশে ঘটে এবং আবদুল্লাহ এর সঙ্গে জড়িত।

সিসিটিসি’র প্রধান জানান, ‘আনসারউল্লাহ’র মুফতি বোর্ডে বর্তমানে পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। এ বোর্ড পরিচালনা করেন একজন মওলানা ও তার একজন সহযোগী। এ বোর্ডের অন্য দু’জন সদস্যও ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন। তারা হলেন- আশরাফুল আজম ও আবু নাইম’।

‘শরিফ নামে অন্য একজন গ্রেফতারের সময় মারা গেছেন, যিনি মুফতি বোর্ডের সদস্য নন’।

তিনি জানান, হত্যার টার্গেট করতে তিন থেকে চারজনকে বাছাই করে তালিকা তৈরি হয়। ওই তালিকা মুফতি বোর্ডের সদস্যরা বাছাই করে হত্যার অনুমোদন দেন। বোর্ডের সদস্যরা কখনো হত্যায় সরাসরি অংশ নেন না।

মনিরুল ইসলাম আরও জানান, আবদুল্লাহ’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলেও আশাবাদী তিনি।

সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিসিটিসি’র প্রধান জানান, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল যাত্রাবাড়ী থেকে। যাত্রাবাড়ীর একটি বাড়ি থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে এসেছিল খুনিরা। সেই বাড়িটি চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
আরএটি/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ