আর কিছু সংখ্যক শিক্ষক সমাজে আপনাদের লজ্জিত করছে। আমরা কষ্ট করে এবং দায়িত্ব নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করি।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার হাইমচর উপজেলার দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চ্যানেল আই কর্তৃক আয়োজিত শিক্ষা বাজেট ২০১৭-২০১৮ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী এসময় আরো বলেন, ১৬ কোটি মানুষের হাত একসঙ্গে কাজ করলে আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এজন্য বেশি প্রয়োজন শিক্ষা। প্রাথমিক স্তরে ৫১ ও মাধ্যমিক স্তরে ৫৩ ভাগ মেয়ে পড়ালেখা করছে। পাশাপাশি ছেলেদের এগিয়ে আসতে হবে।
আমরা শিক্ষা উন্নয়নে যে বরাদ্দ পাই তা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিগত পাঁচ বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে তিন গুণ। সে কারণে অবকাঠামো, শিক্ষক সংকট ইত্যাদি থাকতে পারে। এসব বিষয় পর্যায়ক্রমে আর থাকবে না। আমরা শিক্ষার জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, সরকারি বিদ্যালয় ও কলেজে নতুন ভবন তৈরি করা হবে। তবে বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকা, চরাঞ্চল, হাওর ও পাহাড়ি অঞ্চলে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে এবং হবে। এছাড়া এসব অঞ্চলে আলাদা করে সহযোগিতা দেওয়া হয়।
শিক্ষক সংকট সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত লোক পাওয়া যায় না। আবার শিক্ষকতা পেশায় অনেকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে আসেন না। চরাঞ্চলে শিক্ষকরা এসে থাকতে চান না। আমি তাদের অনুরোধ করবো, আপনারা এসব এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়াবেন। এতে আপনাদের সম্মান অনেকগুণ বাড়বে।
শিক্ষকতা হচ্ছে মহান পেশা। আমরা শিক্ষকদের মাথার তাজ করে রাখতে চাই। আমরা দেশকে পরিবর্তন করছি। উন্নত দেশ গড়ার যে রায় আপনারা শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে সহযোগিতা করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয় করে গড়ে তুলতে হবে। কারণ তারাই হবে আধুনিক ও উন্নত বিশ্বের নির্মাতা, যোগ করেন মন্ত্রী।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা. দীপু মনি এমপি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে খানম, জেলা প্রশাসক আব্দুস সবুর মণ্ডল ও হাইমচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এনটি/এসআই