পরে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে হাতির পালকে সীমান্তে ওপারে তাড়িয়ে দেয়।
শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে ভারতের মেঘালয় সীমান্তের বারেঙ্গাপাড়া ঝালোপাড়া পাহাড় থেকে ভোগাই নদীর তীর দিয়ে ৩০/৪০টি বন্য হাতির একটি পাল উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের কালাকুমা গ্রামের সমতলে নেমে আসে।
এ সময় ওই গ্রামের কৃষক মুছা মিয়া, জহুর উদ্দিন, শাজাহান আলী, আবু সামা ও বাবু মিয়ার এক একর বোরো আবাদ ও আবু সামার ৩৩ শতক বেগুনের ক্ষেত খেয়ে এবং পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে।
এছাড়া হাতির পালটি সুর দিয়ে গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ফলজ গাছের চারা ভেঙে ফেলে। পরে এলাকাবাসী মশাল জ্বালিয়ে ভোরের দিকে হাতির পালটিকে সীমান্তের ওপারে তাড়িয়ে দেয়।
শনিবার রাতে ফের হাতির পালটি হানা দিতে পারে এমন আশঙ্কায় এলাকার কৃষক বোরো আবাদ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
কালাকুমা গ্রামের আবু মুছা মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার ৫০ শতাংশ জমির বোরো আবাদ খাইয়া ও আর পাউ (পা) দিয়া মাড়াইয়া নষ্ট কইরা ফালাইছে। সন্ধ্যায় হাতির পাল আবারও হানা দিবার পায়। অহন আবাদ রক্ষায় এলাকাবাসী হাতির আতঙ্কে আছি। ’
কালাকুমা গ্রামের আবু সামার বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার দিবাগত রাতে ৩০/৪০টা হাতির দল আমগর গ্রামে নামে। আমার ৩৩ শতাংশ বাইগুনের ক্ষেতসহ এলাকার এক কুর (একর) বোরো ক্ষেত খাইয়া ফালাইছে। পরে গ্রামবাসী সবাই মিইলা মশাল জ্বালাইয়া শেষ রাইতের দিকে হাতি তাড়াইছি। ’
রামচন্দ্রকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, হাতি তাড়াতে মশাল জ্বালাতে রাতেই কেরোসিন তেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শনিবার দিনগত রাতে আবারও হাতি হানা দিতে পারে তার জন্য এলাকাবাসী কিছুটা আতঙ্কে রয়েছে। বিষয়টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরফদার সোহেল রহমান বাংলানিউজকে বলেন, হাতির আক্রমণে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি দেখে সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
আরবি/টিআই