শনিবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে আতিয়া মহল পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় র্যাব-৯ সিলেটের সদর দফতর আম্রকাননে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর মহাপরিচালক বেনজীর আহমদ।
তিনি বলেন, ২৮ মার্চ কমান্ডো অভিযান শেষে ৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আতিয়া মহলের বিস্ফোরক ও আইইডি অপসারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় ৠাবকে।
এ কারণে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ‘ক্লিয়ার অপারেশন’ করতে হচ্ছে উল্লেখ করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এখনো বিভিন্ন তলায় আইইডি ও সিরিজ বোমা স্থাপন করেছিল জঙ্গিরা। গত এক সপ্তাহের অভিযানে ভবনের তিনটি ফ্লোর পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানের শুরুতে ভবনের নীচতলা থেকে দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব। ভবন থেকে ৯টি তাজা বিস্ফোরক উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিপুল বিস্ফোরক সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্যাদি, ইলেক্ট্রনিক সরঞ্জাম, বোমা বানানোর সার্কিট উদ্ধার করা হয়। এখনও কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছে র্যাব। তবে উদ্ধার কার্য এখনও শেষ হয়নি।
উদ্ধার কাজে র্যাবকে সহায়তা করায় সিলেট মহানগর পুলিশ, সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক), ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করে আগামী দিনে আইইডি মুক্ত করা পর্যন্ত সকলের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান র্যাব মহাপরিচালক।
প্রেস ব্রিফিংকালে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৭
এনইউ/আরআই