ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা সেতুর স্প্যান তৈরি ১টি, কাজ চলছে ৪টির, বসবে ৪০টি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
পদ্মা সেতুর স্প্যান তৈরি ১টি, কাজ চলছে ৪টির, বসবে ৪০টি পদ্মা সেতুর স্প্যান তৈরির কাজ চলছে। ছবি: কাশেম হারুন-বাংলানিউজ

মাওয়া-জাজিরা ঘুরে: মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা নদীর দুই পাড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আর চলবেই বা না কেন, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেতুর কাজ যে চলছে।

বর্তমান সরকারের সফল পরিকল্পনা ও এর সঙ্গে জড়িত কলাকুশলীদের নিরলস প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু এখন ধীরে ধীরে বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে সেতুর ৪১ শতাংশ কাজ।

শনিবার (০৮ এপ্রিল) মাওয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত পদ্মা নদীর দুইপাড় ঘুরে দেখা যায়, পাইলিং থেকে শুরু করে পদ্মা সেতুর সুপার স্ট্রাকচারের (স্প্যান) নির্মাণ কাজ চলছে বিরামহীনভাবে।

পদ্মাপাড়ে মাওয়া ঘাটের ট্রাশ ফ্যাব্রিকেশন ইয়ার্ডে চলছে পদ্মা সেতুর প্রধান স্ট্রাকচার বা সুপার স্ট্রাকচার (স্প্যান) সংযোগের কাজ। ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে একটি স্প্যান আর কাজ চলছে ৪টি নির্মাণের। স্প্যানের মূল অংশগুলো তৈরি করা হচ্ছে চীনে। চীনে থেকে মূল অংশগুলো জাহাজে করে এনে সংযোগ করে স্প্যানে পরিণত করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর কাজ চলছে।  ছবি: বাংলানিউজ

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা বাংলানিউজকে জানান, ১৫০ মিটার লম্বা একেকটি স্প্যানের ওজন তিন হাজার ২শ টন। এমনি ৪০টি স্প্যান পিলারে বসালেই দাঁড়িয়ে যাবে ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা বহুমুখী সেতু। প্রতিটি স্প্যানের মূল অংশ চীন থেকে এনে সংযোগ করতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় মাস। সেই হিসাবে নির্মাণাধীন ৪টি স্প্যানের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে ছয় মাস।

তারা আরও জানান, স্প্যান তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে করা হচ্ছে। চীনে আরও বেশ কয়েকটি স্প্যান তৈরির মূল অংশের কাজ চলছে। ওইগুলোর কাজ শেষ হলেই বাংলাদেশে এনে সংযোগের কাজ করা হবে।

পদ্মা সেতুর মূল্য নকশায় দেখা গেছে, সেতুটি হবে সোনালি রঙের। আর সেই জন্যই প্রতি স্প্যানের রঙও সোনালি রঙের।

অন্যদিকে, স্প্যানগুলো সেতুর পিলারের উপরে তোলার জন্য মাওয়া ঘাটে অপেক্ষা করছে তিন হাজার ৬শ টনের একটি ফ্লোটিং ক্রেন। পিলার তৈরির কাজ শেষ হলেই এই দানব আকৃতির ফ্লোটিং ক্রেনের মাধ্যমে একে একে ৪০টি স্প্যান পিলারের উপর তোলা হবে। পদ্মা সেতুর কাজ চলছে।  ছবি: বাংলানিউজপদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজটি ভাগ করা হয়েছে পাঁচটি প্রধান প্যাকেজে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় কাজ ১শ ৫০ কোটি ডলার (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে মূল সেতু নির্মাণ। ১শ কোটি ডলার (প্রায় আট হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে নদী শাসন। সঙ্গে রয়েছে তিনটি অপেক্ষাকৃত ছোট প্রকল্প। এর মধ্যে অন্যতম অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ। মাওয়া অংশে কেবলই সড়ক, তবে জাজিরা অংশে রয়েছে সড়কের পাশাপাশি আরও অন্তত পাঁচটি সেতু নির্মাণের কাজ।

২০১৮ সা‌লের ডি‌সেম্ব‌রে সেতুর কাজ শেষ কর‌তে এখন পাইল ড্রাইভ নদী শাসন চল‌ছে জোর গ‌তি‌তে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে পদ্মা সেতু। ৬.১৫ কিলোমিটারের দ্বিতলবিশিষ্ট এই সেতুর উপ‌রে গা‌ড়ি আর নিচ দি‌য়ে চল‌বে ট্রেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৯  ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এমএ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ