মূল সেতু ভর করে উঠতে ২৭২টি পাইল ড্রাইভ করতে হবে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৬১টি পাইল ড্রাইভের কাজ শেষ হয়েছে।
শনিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে পদ্মাসেতুর জাজিরা অংশের ৩৭, ৩৮, ও ৩৯ নম্বর পাইল ঘুরে দেখা গেছে, পাইল ড্রাইভিংয়ের অগ্রগতি হয়েছে বেশ। একের পর এক পাইল নদীর গভীরে পাঠাতে হ্যামারের সজোরে আঘাত চলছে।
সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের বাংলানিউজকে জানান, মূল সেতুর ৬১টি পাইল ড্রাইভিং সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে মূল সেতুর অগ্রগতি হয়েছে ৪১ শতাংশ। জাজিরা অংশে যেখানে সেতু সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে সেখানে ট্রানজেকশন পিয়ার গড়ে তোলার কাজও চলছে।
সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা জানান, জাজিরা অংশে ভায়াডেক্টর ১৯৩টির মধ্যে ৭৪টি পাইল ড্রাইভিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি পাইলেরও কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
এদিকে সেতুর প্রথম একটি স্প্যান পদ্মা পাড়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। একসঙ্গে চারটি স্প্যান আরও মাস ছয়েক পর তুলে দিতে সক্ষম হবেন সেতুর প্রকৌশলীরা।
স্প্যান নদীতে পিলারের মধ্যে তোলার জন্য ৩ হাজার ৬০০ টনের ফ্লোটিং ক্রেনও মাওয়ায় অপেক্ষা করছে। মূলত পাঁচটি প্রধান প্যাকেজে ভাগ করে পদ্মাসেতু নির্মাণ কাজ চলছে। সবচেয়ে বড় কাজ ১৫০ কোটি ডলার (প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে মূল সেতু নির্মাণ। আরও আছে ১০০ কোটি ডলার (প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে নদী শাসন। সঙ্গে রয়েছে তিনটি অপেক্ষাকৃত ছোট প্রকল্প। যার মধ্যে আছে অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ। মাওয়া অংশে কেবলই সড়ক, তবে জাজিরা অংশে রয়েছে সড়কের পাশাপাশি আরও অন্তত পাঁচটি সেতু নির্মাণের কাজ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করতে এখন পাইল ড্রাইভ ও নদী শাসন চলছে জোরগতিতে। স্বাধীনতার পর এটিই দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে পদ্মাসেতু প্রকল্প। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের দ্বিতল এ সেতুর ওপরে গাড়ি আর নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এসএ/এএসআর