এ বৈশাখী মেলাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ফরমায়েশখানা গ্রামের দক্ষিণ পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা।
মাটির তৈরি ব্যাংক, পুতুল আর বিভিন্ন রকমের শোপিস শিল্পীদের রঙ-তুলির আঁচড়ে যেনো জীবন্ত রূপ পাচ্ছে।
![ছবিতে খুলনার পালপাড়া। ছবি: বাংলানিউজ](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/Khulna-Palpara120170409140755.jpg)
মৃৎশিল্পীরা শক্ত মাটি পায়ে মাড়িয়ে নরম করে। পরে কাজের উপযোগী হলে তা দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন শোপিস। তৈরির পর কিছু সময় রোদে শুকানো হয়।
নরম মাটির ব্যাংক, পুতুল আর বিভিন্ন ধরনের শোপিস তৈরির পর তা বিশেষ চুল্লিতে পুড়িয়ে শক্ত করা হয়।
পোড়ানো হয়ে গেলে শিল্পীরা রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে পুতুল, পশু-পাখির রঙিন অবয়ব।
আম, কাঠাল, তাল, মোরগ, পুতুল, হরিণ পাখি, গাছ, মাছ, ফুলসহ বিভিন্ন শোপিস রংয়ের বাহারে জীবন্ত মনে হয়।
রং পাকা হলে কারুকার্যখচিত মাটির পসরা থরে থরে বৈশাখের আয়োজনে সাজিয়ে রাখা হয়।
খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার দক্ষিণ পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা আদি সংস্কৃতি ধরে রেখে চলেছে বহুকাল।
স্থানীয় মৃৎশিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে বলেন, আদি বংশ পরম্পরায় আমরা মাটির কাজ করি। আশপাশের আরো তিন গ্রামে মাটির কাজ হয়। সারা বছর হাড়ি, পাতিল, কলস, ফুলের টব, ধুপদানি তৈরি করলেও বছরের এ সময়ে মাটির পুতুল, ব্যাংক আর শোপিসের চাহিদা বেশি থাকে। এ কাজের জন্য শহর থেকে অনেকে অগ্রিম টাকাও দিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
আরআইএস/জেডএম