ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ছবিতে খুলনার পালপাড়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
ছবিতে খুলনার পালপাড়া ছবিতে খুলনার পালপাড়া। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: বাঙালির সার্বজনীন লোক উৎসব পহেলা বৈশাখের আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজনে বৈশাখী মেলা অন্যতম।

এ বৈশাখী মেলাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ফরমায়েশখানা গ্রামের দক্ষিণ পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা।

মাটির তৈরি ব্যাংক, পুতুল আর বিভিন্ন রকমের শোপিস শিল্পীদের রঙ-তুলির আঁচড়ে যেনো জীবন্ত রূপ পাচ্ছে।

শিল্পীদের কারুকার্যে ফুটে উঠছে বাঙালি ঐতিহ্য ও আবহমান গ্রাম বাংলার চিত্র। ছবিতে খুলনার পালপাড়া।                                          ছবি: বাংলানিউজ
 

মৃৎশিল্পীরা শক্ত মাটি পায়ে মাড়িয়ে নরম করে। পরে কাজের উপযোগী হলে তা দিয়ে তৈরি করা হয় বিভিন্ন শোপিস। তৈরির পর কিছু সময় রোদে শুকানো হয়।
 ছবিতে খুলনার পালপাড়া।  ছবি: বাংলানিউজ
 নরম মাটির ব্যাংক, পুতুল আর বিভিন্ন ধরনের শোপিস তৈরির পর তা বিশেষ চুল্লিতে পুড়িয়ে শক্ত করা হয়।
 ছবিতে খুলনার পালপাড়া।  ছবি: বাংলানিউজ
পোড়ানো হয়ে গেলে শিল্পীরা রং-তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলে পুতুল, পশু-পাখির রঙিন অবয়ব।
ছবিতে খুলনার পালপাড়া।  ছবি: বাংলানিউজ আম, কাঠাল, তাল, মোরগ, পুতুল, হরিণ পাখি, গাছ, মাছ, ফুলসহ বিভিন্ন শোপিস রংয়ের বাহারে জীবন্ত মনে হয়।
ছবিতে খুলনার পালপাড়া।  ছবি: বাংলানিউজ
 রং পাকা হলে কারুকার্যখচিত  মাটির পসরা  থরে থরে বৈশাখের আয়োজনে সাজিয়ে রাখা হয়।
 
খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার দক্ষিণ পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা আদি সংস্কৃতি ধরে রেখে চলেছে বহুকাল।
 
স্থানীয় মৃৎশিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল বাংলানিউজকে বলেন, আদি বংশ পরম্পরায় আমরা মাটির কাজ করি। আশপাশের আরো তিন গ্রামে মাটির কাজ হয়। সারা বছর হাড়ি, পাতিল, কলস, ফুলের টব, ধুপদানি তৈরি করলেও বছরের এ সময়ে মাটির পুতুল, ব্যাংক আর শোপিসের চাহিদা বেশি থাকে। এ কাজের জন্য শহর থেকে অনেকে অগ্রিম টাকাও দিয়ে যায়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
আরআইএস/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ