রোববার (০৯ এপ্রিল) ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আব্দুর রশিদের বাড়ি সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামে।
আব্দুর রশিদের মেয়ে রউফুনেচ্ছা বাংলানিউজকে জানান, রসুলপুর এলাকায় ১৫ শতাংশ জমির ওপর তাদের বাড়ি। কুশখালি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে মুন্না ও আব্দুল মজিদের ছেলে মিলন হোসেন তাদের বসতভিটা দখল নেওয়ার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি মুন্না তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেলে পুলিশ এসে আব্দুর রশিদের ছেলে তরিকুলকে ধরে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এরপর রাত ১২টার দিকে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রমজান আলির নেতৃত্বে ১০-১২ জন পুলিশ এবং মুন্না ও মিলন তাদের বাড়িতে হামলা চালান। এসময় তারা আব্দুর রশিদ ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে আহত করেন এবং ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন।
মুক্তিযোদ্ধার ছেলের স্ত্রী আসমা খাতুনের দাবি, এসআই রমজান যাওয়ার সময় বলে গেছেন, তোরা যদি বেশি বাড়াবাড়ি করিস তাহলে তোদের জামায়াতের মামলায় ঢুকিয়ে দেবো। বোম মেরে উড়িয়ে দেবো। যতো তাড়াতাড়ি পারিস বাড়ি ছেড়ে চলে যা।
তিনি আরো দাবি করেন, জমি নিয়ে সম্প্রতি আদালত তাদের পক্ষে রায় ও ডিক্রি দিয়েছেন।
সদর থানার এসআই রমজান আলি বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ওই বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে সেখানে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এনটি/এসআই