এ পরিকল্পনায় বাবা-মায়েদের জমানো টাকা ১৮ বছর পর কন্যা সন্তানরা হাতে পেলে তার পড়ালেখার খরচ চালিয়ে যেতে পারবেন।
ডাক বিভাগের ১৯টি গাড়ির উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার (০৯ এপ্রিল) জিপিও চত্বরে এক অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ব্যাংকটির অনুমোদনের উপর জোর দেন তারানা হালিম।
সারাদেশে ৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পোস্ট অফিস স্পেশালাইজড ব্যাংক বা পোস্ট ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর কথা আগেই জানিয়ে আসছিলেন তিনি।
পোস্ট অফিস যদি বিশেষ ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে তাহলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠাবো, তিনি বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন, আমরা এখন বিস্তারিত পাঠাবো।
‘১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। বিশেষ একটি কাজ করতে চাই। যখন পোস্ট ব্যাংক হিসেবে অনুমোদন পাবো। কারণ স্বপ্ন আমাদের দেখতেই হবে, সেটি হবে কন্যার জন্য। এখানে প্রত্যেক বাবা-মা তাদের কন্যার লেখাপড়ার জন্য, আমাদের প্রস্তাবনা থাকবে তারা মাত্র পাঁচ টাকা দিয়েই যেন এ প্রকল্পটি শুরু করতে পারেন। ’
তারানা হালিম এ প্রকল্পে সহযোগিতা চান সরকারের।
‘সরকারের কাছে আমরা প্রস্তাব করবো, সেখানে একটু যদি ইনটেনসিভ দেয়, কন্যার বয়স যখন ১৮ বছর হবে তখন সেটি আমরা কন্যার হাতে তুলে দিতে চাই। এ অংশটি দিয়ে সে ভবিষ্যতের লেখাপড়ার জীবনটি কনটিনিউ করতে পারবে। ’
দায়িত্ব নেওয়ার পর মৃতপ্রায় ডাক বিভাগকে দাঁড় করানো চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কথা দিয়েছিলাম নিজের পায়ে দাঁড়াবে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। ডাক বিভাগের সবাই শতভাগ সহায়তা দিয়েছেন, ডাক বিভাগে হোঁচট খাইনি।
‘ডাক বিভাগে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি ২১৯.১৩ কোটি টাকা, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২৫৩.১৭ কোটি টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে (দায়িত্ব নেন তারানা) ৩০১.১৮ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৬-১৭ প্রথম ৬ মাসে ১৫৬.১৫ কোটি টাকা হয়েছে। বাকি ৬ মাসে ৩১২ কোটি টাকা হবে, যা ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের সর্বোচ্চ। ’
মৃতপ্রায় প্রতিষ্ঠানকে উঠে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কথা তুলে ধরে তারানা হালিম বলেন, ডাক বিভাগ হবে একটি প্রাইভেট সেক্টরের মতো লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এজন্য দুর্নীতি উপড়ে ফেলতে হবে। দুর্নীতি উপড়ে ফেলতে পারলে উন্নতি হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা পোস্ট অফিসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। প্রতিটি ডাকঘর সার্ভিস ডাইভারসিফিকেশন করবে, যা এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ভিসা ও পাসপোর্ট ফরম পূরণ করা হবে। এরইমধ্যে ২০টি পোস্ট অফিসে ই-কমার্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এ প্রকল্প সম্প্রসারণ করতে চাই।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, ডাক বিভাগ মহাপরিচালক সুশান্ত কুমার মন্ডল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
**নারী চালকদের হাতে ডাক বিভাগের গাড়ি
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস