ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১৭
ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে, ছবি-রানা

জামদানি পল্লি (নারায়ণগঞ্জ) ঘুরে: আর চারদিন পরেই বাঙ‍ালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। লাল-সাদা কম্বিনেশনের শাড়ি, লাল চুরি ও লাল টিপে বাঙ‍ালি তরুণী ও নারীরা বাংলা বছরের প্রথম দিনটাকে রাঙাবেন।

সম্পূর্ণ বাঙালিয়ানায় নিজেকে সাজাতে বাঙালি নারীদের ব্যস্ততা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে ঐতিহ্যবাহী জামদানি শাড়ির কারিগরদের।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ জামদানি পল্লিতে রাত-দিন চরকা ঘুরাচ্ছেন সূতার ললি তৈরিতে, ভীমে (শাড়ি তৈরি ও নকশা তোলার যন্ত্র) একের পর এক শাড়ি ও নকশা বুনে যাচ্ছেন কারিগররা।

পহেলা বৈশাখের অর্ডার শেষ করতে দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।  

ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে-ছবি-বাংলানিউজ রোববার (৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের তারাবো এলাকার বিসিক জামদানি শিল্প পল্লিতে ঘুরে পহেলা বৈশাখ নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ততা দেখা যায়।

লাল রেশমি সুতায় সাদা জমিনে ভীমে খুঁটখাট আওয়াজ করে নকশা তুলছেন আইয়ুব আলী। পাশে মেয়ে হালিমা গোল্ডেন স‍ূতার কাজ জুড়ে দিচ্ছেন শাড়িতে। আইয়ুব আলী রাতভর কাজ করার পরও সকাল ৭টা থেকে তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে আবার বসেছেন কারখানায়।

আইয়ুব আলী বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে। মার্চের শুরু থেকে বৈশাখের অর্ডার পেয়েছি। বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই। হাতে এখনও অনেক অর্ডার বাকি। ১৩ তারিখের মধ্যে কিছু অর্ডারের ডেলিভারি দিতে হবে। কোনোটা আবার কাল-পরশু।  

ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে-ছবি-বাংলানিউজজামদানি পল্লির প্রতিটি তাঁতেই চলছে শাড়ি তৈরির কাজ। কেউ রেশমি স‍ূতায় তুলছেন হাফ সিল্কের কাজ, কেউ শাড়ি তৈরি করছেন কটনের সূতায়, আবার কেউ-কেউ নাইলনের সূতায় তুলছেন নজরকাড়া নকশা।  

আব্দুল লতিফ নামে এক কারিগর বাংলানিউজকে জানান, আমাদের তৈরি শাড়ি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। এবারের পহেলা বৈশাখে ভালো অর্ডার পেয়েছি, যারা শাড়ি নেন- তারা অগ্রিম টাকা দিয়ে দিয়েছেন। অর্ডারের মধ্যে পুরো লাল ও লাল-সাদা জামদানি বেশি। অনেক ক্রেতা ব্যক্তিগতভাবেও ডিজাইন নিয়ে এসে অর্ডার দিচ্ছেন।

ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে-ছবি-বাংলানিউজমার্কেটের প্রকৃত মূল্য জানেন না বলে তাদের ঠকতে হচ্ছে বলে জানান এই কারিগর। তিনি বলেন, ঢাকার বড়-বড় মার্কেটে যে দামে জামদানি শাড়ি বিক্রি হয়, আমরা সে তুলনায় লাভের মুখ দেখতে পারি না। যে শাড়ি তৈরিতে আমার ২০ হাজার টাকা খরচ পড়ে, বানাতে এক মাস সময় লাগে, তাতে সব মিলে ২ হাজার টাকা লাভ হয়। তার মানে মাসে আমার উপার্জন ২ হাজার টাকা।  

ব্যস্ততা বেড়েছে জামদানি পল্লির চরকা-ভীমে-ছবি-বাংলানিউজআব্দুল লতিফ বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বানাই বলে চলতে পারতেছি। আবার ২০ হাজার টাকার সেই শাড়ি ৫০ হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি।

বাংলাদেশে সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৭
এমসি/আরআর/টিআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ