সভায় আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি, ড. জয়া সেন গুপ্তা এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি, অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্ এমপি, অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আয়ুব বখ্ত জগলুল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পাউবো’র ঠিকাদারদের গাফিলতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ দুই কারণেই আমাদের প্রায় ২০ লাখ কৃষক দুর্ভোগে পড়েছেন। সভায় বক্তারা পাউবো ও ঠিকাদারদের দুর্নীতির তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত বিল না দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে জেলাকে দুর্গত ঘোষণা করে ন্যায্য মূল্যে চাল বিক্রি শুরু করা, ফেয়ার প্রাইসের সংখ্যা বাড়ানো, প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকুফ, সহজ শর্তে কৃষি ঋণ প্রদানের দাবি জানান।
সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতমন্ত্রী বলেন, ‘সুনামগঞ্জে ৭০ ভাগ জমির ফসল ডুবে গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গাফিলতিও এজন্য দায়ী’। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া এবং ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে একটি কমিটি ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ০৯ এপ্রিল, ২০১৭
আরএ