ঢাকা, রবিবার, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রাওদার বান্ধবীকে আসামি করে বাব‍ার মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
রাওদার বান্ধবীকে আসামি করে বাব‍ার মামলা

রাজশাহী:  অবশেষে মালদ্বীপের মেয়ে রাওদা আতিফের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করেছেন তার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজশাহীর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি এ মামলা করেন।

মামলায় রাওদার বান্ধবী সিরাত পারভিনকে আসামি করা হয়।   একই মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সিরাত কাশ্মিরের নাগরিক।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল মনির বাংলানিউজে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে মহানগরীর‍ শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ৬ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বের হওয়ার সময় স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে মামলার আভাস দেন রাওদার বাবা।

ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মালদ্বীপের দুই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে যান তিনি।

দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন তারা। কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। মেডিকেল কলেজ থেকে বের হয়ে হওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

রাওদার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ তখন জানান, রাজশাহী এসে মেয়ের মরদেহ দেখার পর থেকেই তিনি আত্মহত্যার ঘটনা মানতে পারছেন না। তাই ময়নাদন্তের রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানতে মামলা করতে চান।  

এর আগে প্রখ্যাত ‘ভোগ” ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা মডেল ও মেডিকেল কলেজ ছাত্রী রাওদা আতিফের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মনসুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়।

রওদার মরদেহ ময়নাতদন্তে ওই টিমের অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- রামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক ও সাবেক অধ্যাপক এমদাদুর রহমান।

ময়নাতদন্ত শেষে গত ১ এপ্রিল দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজশাহীর হেতমখাঁ গোরস্থানে রাওদা আতিফের মরদেহ দাফন করা হয়।

গত ২৯ মার্চ ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় রাওদার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। এই মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৩তম ব্যাচের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন রাওদা। বিদেশি কোটায় ভর্তির পর গত বছরের ১৪ জানুয়ারি নারী হোস্টেলের দ্বিতীয় তলার ওই কক্ষে উঠেছিলেন রাওদা। ওই ব্লকে আরও ছয়জন বিদেশি শিক্ষার্থী থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৭
এসএস/জিপি/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।