আমরা অন্যের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাই না। তবে প্রস্তুতি থাকতে হবে যেন কখনো আক্রান্ত হলে জবাব দিতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, যুদ্ধ চাই না। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালার খসড়া পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। বিশ্ব এখন বাংলাদেশকে সম্মানের চোখে দেখে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আকার ও জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ ছোট হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।
জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালার খসড়া উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান।
খসড়া পর্যালোচনার পর এটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।
পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সচিব, সামরিক ও অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এমইউএম/জেডএস