এ ঘটনায় রামগতি থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত দুই বখাটেকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেফতারকৃত আবদুল আলী ও জাবেদ হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। এর আগে ৫ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চর সীতা গ্রামের একটি খেজুর গাছের সঙ্গে শিপনকে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল সোমবার রাতে শিশুর বাবা রামগতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
নির্যাতিত শিশু শিপন রামগতি উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর সীতা গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক মো. সিরাজের ছেলে। সে উত্তর পশ্চিম চর সীতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র।
গ্রেফতার হওয়া আসামি আবদুল আলী উপজেলার চর বাদাম ইউনিয়নের চর সীতা গ্রামের সুজা মিয়ার ছেলে। জাবেদ একই গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে। মামলার অন্য আসামি জিয়া উর রহমান পলাতক রয়েছেন।
শিশুর বাবা মো. সিরাজ ও মা বিলকিস বেগম জানান, শিশু শিপন তার বন্ধুদের সঙ্গে মারবেল খেলছিলো। এসময় খেলার স্থানের পাশে জিয়াউর রহমানের (৪০) বাঁশের সঙ্গে ঝুলানো জামার পকেট থেকে ৪০ টাকা কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। এঘটনায় সন্দেহ করে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শিপনকে খেজুর গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। এসময় আসামিরা তার মুখে কালি মেখে মাথার চুল কেটে দেয়, গলায় জুতার মালা পরায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন জানান, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৭
বিএস