বুধবার (১২ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে যাত্রীকল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে সংগঠনটি।
সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থ বিবেচনা করে পরিবহন খাতের যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় যাত্রী সমিতির প্রতিনিধিদের ডাকা হতো।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট সড়ক দুর্ঘটনার একটি মামলা নিষ্পত্তি করে অপরাধীদের ৭ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে বলেছিলেন, ‘এই শাস্তিও যথেষ্ট নয়’। অথচ সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭-এ সড়ক দুর্ঘটনা মামলায় শাস্তি ৩ বছরের কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। এতে সড়কে যে মৃত্যুর মিছিল চলছে তা কোনভাবেই থামানো সম্ভব হবে না।
মোজাম্মেল আরও বলেন, সরকার-মালিক-যাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘সড়ক দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা তহবিল’ গঠনের জন্য আইনে একটি বিধান রাখার কথা আমরা জানিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা রাখা হয়নি। এ ধরনের তহবিল গঠন করলে সেখান থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা ও নিহতদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হতো।
পরিবহনে সরকারি-বেসরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের স্বার্থ সংরক্ষণের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পিএসসি’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান একরাম আহমেদ ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২,২০১৭
এমএ/আরআর/আরআই