ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘সকৃতজ্ঞ স্মরণ একুশ বছরের পথ-পরিক্রমণ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সভায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, প্রথম আমরা ৮ জন ট্রাস্টি মিলে এ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সূচনা করেছিলাম। কিন্তু আজ এটি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে পরিণত হয়েছে। আমরা এটিই চেয়েছিলাম। কিন্তু আজ এ জায়গা থেকে জাদুঘরটি সারানো হচ্ছে তা খুবই কষ্টের। তবুও নতুন যাত্রার দিকে যেতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন জাদুঘরটির সূচনা করি তখন দেশে একটি অন্ধকার সময় ছিল। সেই অন্ধকারে আলোর পথ দেখিয়েছে এ জাদুঘর। এক্ষেত্রে সব শ্রেণির মানুষ আমাদের সহযোগিতা করেছেন। স্কুল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে আমাদের টাকা দিয়েছে। এছাড়া বিত্তবান থেকে শুরু করে রিকশাচালক পর্যন্ত জাদুঘরের উন্নয়নে অর্থ দান করেছে।
এখন দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অপশক্তিকে রুখতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভূমিকা রাখতে পারে।
এরইমধ্যে সেগুনবাগিচায় অবস্থিত জাদুঘর থেকে আগারগাঁও'র নতুন জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট প্রায় ২০ হাজার নিদর্শন সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবারের (১৩ এপ্রিল) মধ্যে এ কাজ শেষ হবে বলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়।
১৯৯৬ সালের ২২ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে দ্বার উন্মোচন করা হয়, যা ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল বন্ধ করা হয়।
আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আকু চৌধুরী, ড. সারওয়ার আলী, মফিজুল হক ও জিয়া উদ্দিন তারিক আলী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২,২০১৭
এমএ/জেডএস