বুধবার (১২ এপ্রিল) জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির ষষ্ঠ সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এ সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদের অর্থ ও অর্থের উৎস বন্ধে ব্যাংকগুলোতে সন্দেহজনক একাউন্ট ও লেনদেনের বিষয়ে ব্যাংকগুলো গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাবে এবং গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে তদন্ত করবে। কোনো ব্যাংক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিএসআর ফান্ডের অর্থ জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস হিসেবে ব্যবহার হয় কিনা সেটা তদন্ত করা হবে। ওই অর্থের ট্রানজেকশন সন্দেহজনক হলে সেটা গোয়েন্দারা দেখবে।
তিনি বলেন, জঙ্গি তৎপরতায় মদদ দেয়ার ব্যাপারে যে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম আসছে, সে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এটা আরও জোরদার করা হবে। শুক্রবার জুমআর নামাজের সময় খুতবার আগে জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে ইমামরা মডেল বক্তব্য রাখছেন। জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সব মসজিদের ইমামরা কথা বলছেন কি না সে দিকেও লক্ষ্য রাখা হবে। ওয়েবসাইট, ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এটা আরও জোরদার করা হবে। বিদেশ থেকে যারা দেশে আসছেন তারা রোহিঙ্গাদের সাথে যোগাযোগ করে কি না বা বিদেশে বাংলাদেশের যারা আছেন তাদের সঙ্গে কারও রোহিঙ্গাদের সাথে যোগাযোগ আছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হবে এবং সে দিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের অনেকে জামিনে বেরিয়ে গেছে। অনেকে জামিনের পর মামলার হাজিরা দিচ্ছে না। যে আইনজীবীরা তাদের জামিনদার (গ্রান্টার) হয়েছিলেন সেই আইনজীবীদের তাদের আসামিদের আদালতে হাজির করতে বলা হবে। আইনজীবীরা তাদের হাজির করাতে না পারলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির এ সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধান, ৯টি মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা, ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৯ ঘন্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এসকে/আরআই