নিষিদ্ধ ঘোষিত হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষনেতা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ‘মুফতি’ আব্দুল হান্নান ও জঙ্গি শরীফ শাহেদুল আলম বিপুলের ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত আটটার পরে কারাগারের ভেতরে যান আইজি (প্রিজন)।
![কাশিমপুরে চলছে ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলের ফাঁসির প্রস্তুতি-ছবি: দীপু মালাকার](http://www.banglanews24.com/media/imgAll/2016October/bg/D-220170412212441.jpg)
সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার দায়ে ফাঁসি কার্যকরের অপেক্ষায় থাকা ‘মুফতি’ হান্নান ও বিপুলকে রাখা হয়েছে এ কারাগারের কনডেম সেলে। তাদেরকে একই ফাঁসির মঞ্চে পাশাপাশি ফাঁসিকাষ্ঠে ঝোলানো হবে বলে নিশ্চিত করেছে কারাসূত্র।
সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে কারাগারের ভেতরে ঢোকানো হয় সাদা রঙের দু’টি অ্যাম্বুলেন্স।
এদিকে কারাগারের মূল গেটে বেশ কয়েকজন এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। সেখান থেকে শুরু করে বেঙ্গা মার্কেট পর্যন্ত ৫০০ গজ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, এপিবিএন সদস্য ছাড়াও কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
বেঙ্গা মার্কেট পর্যন্ত তিনটি প্রতিরোধক (ব্লক) স্থাপন করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে। কারাগার এলাকায় রয়েছেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন-অর রশিদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এর আগে ‘মুফতি’ হান্নানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তাই পুরো গাজীপুরে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি। কারাগার এলাকায় বেশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফাঁসি কার্যকর হলে আমরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দু’জনের (হান্নান ও বিপুল) মরদেহ তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে দেবো’।
এদিকে ‘মুফতি হান্নানের সঙ্গে দু’দফায় তার স্বজনেরা শেষ দেখা করলেও বিপুলের স্বজনেরা এখনও কারাগারে আসেননি। তবে তাদের দু’জনেরই ফাঁসি কার্যকরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কারাসূত্র।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনের মধ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা দেলোয়ার হোসেন রিপনের সঙ্গে তিনদফায় শেষ দেখা করে গেছেন তার বাবা-মা ও স্বজনেরা। তার ফাঁসি বুধবার রাত ১২টা ০১ মিনিটে ওই কারাগারের ফাঁসিকাষ্ঠে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার ছগির মিয়া।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এজেডএস/এসজেএ/আরএস/এএসআর