বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বিপুলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নের ‘বকশি পাটওয়ারী বাড়ি’তে গেলে
গাজীপুর জেলার কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার (১২ এপ্রিল) রাতেই তার ফাঁসি কার্যকর হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
সন্ধ্যায় তার বাড়িতে গিয়ে একেবারেই নীরব পরিবেশ দেখা গেছে।
সুমাইয়া জানায়, তারা কেউই জানে না, রাতে বিপুলের ফাঁসি হবে। কয়েকদিন আগে তার বাবা হেমায়েত হোসেন পাটওয়ারীর কাছে পুলিশ সদস্যরা এসে বলেছিলেন, বিপুলের ফাঁসি হলে তিনি মরদেহ গ্রহণ করবেন কি-না? সে সময় হেমায়েত পুলিশকে বলেছেন, তিনি মরদেহ গ্রহণ করবেন না এবং তাকে দেখতেও চান না।
আরেক সৎ বোন শাহীনুর জানান, বিপুল কোনো সময় বাড়িতে আসতেন না। তিনি সিলেটেই থাকতেন। সিলেটে তার স্ত্রী রুমি ও ছেলে হুজাইফা থাকেন। তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই।
মৈশাদী তাতলা বাজারের ব্যবসায়ী মো. মঈনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিপুলের মা ফখরুন আক্তার ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবর মারা গেছেন। এরপর তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেছেন। বিপুলের আপন ভাই শিমুল চাঁদপুরেই একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। এই বাড়িতে বিপুলের সৎ মা ও দুই সৎ বোনকে নিয়ে তার বাবা থাকেন। বিপুলের মামা আলন্দ পাটওয়ারীও বলেন, ‘বিপুলের বাবা অনেক আগেই জানিয়েছেন যে, তিনি মরদেহ গ্রহণ করবেন না। এমনকি তার নামাজে জানাজায়ও অংশ নিতে চান না তিনি। তাই মৈশাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক পাটওয়ারী ও আমি বিপুলের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করবো’।
‘সন্ধ্যায় পারিবারিক কবরস্থানে বিপুলের কবরের জায়গাও নির্ধারণ করে রেখেছি। এখন চলছে কবর খোঁড়ার কাজ’।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মানিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিপুলের বাবা অসুস্থ হওয়ায় আমাকে দাফন কাজ সম্পন্ন করতে বলেছেন। সরকারের নির্দেশনার আলোকে আমরা এ কাজ করবো’।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এসআই