শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীদের সহায়তায় উপজেলার কুড়িয়াপাড়া গ্রামের প্রবাসী মনিরুল ইসলামের বাড়ির ভেতরের পাতকুয়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত মালেক ওই গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে।
আটকরা হলেন- প্রবাসী মনিরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী সুরমা বিবি (২৫), ছোট ভাই আমিরুল ইসলাম (৩৫) ও একই গ্রামের মেহের আলী আকন্দের ছেলে পিন্টু হোসেন (২৬)।
নিহত মালেকের মামা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান খয়বর আলী মণ্ডল বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে একই গ্রামের আমিরুল মোবাইল ফোনে ভাগ্নে মালেককে তার বাড়িতে ডেকে নেন। এরপর থেকে মালেক নিখোঁজ ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে আমিরুলকে আটক করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রবাসী মনিরুলের প্রথম স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বিবিকে হত্যা করার জন্য তার ছোট ভাই আমিরুল ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় নিহত মালেকের সঙ্গে চুক্তি করে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মালেককে হত্যার পর মরদেহটি গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
নিয়ামতপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ মাহতাব উদ্দিন মৃধা বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিত্যক্ত পাতকুয়া থেকে মালেকের মরদেহটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, সন্দেহের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে আমিরুলকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাড়ির ভেতরে পরিত্যক্ত একটি পাতকুয়া থেকে মালেকের বস্তাবন্দি মরদেহ করা হয়। দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
আরবি/