বৈশাখের প্রথম দিন (১৪ এপ্রিল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা যায়, উদ্যানের কালী মন্দির সংলগ্ন গেটের পাশ দিয়ে বৈশাখ উপলক্ষে মেলা বসেছে। সেখানে বেশ কয়েকজন বিক্রেতাকে ছোট-বড় বিভিন্ন সাইজের ভুভুজেলা বিক্রি করতে দেখা যায়।
এর মধ্যে কয়েকজন বাঁশিতে ফু দিয়ে ক্রেতা আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করে বসে রয়েছে। তবে অনেক বিক্রেতাকে ভুভুজেলা কেনার সময় ক্রেতাকে সর্তক করতেও দেখা গেলো।
এক নারী ক্রেতাকে সর্তক করতে রাসেল নামে এক বিক্রেতা বলে ওঠেন, আপা পুলিশের সামনে বাজাইয়েন না, ভাইঙা দিতে পারে। শেষে আমাদেরও এসেও ধরবে।
নিষিদ্ধ ভুভুজেলা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে মুচকি হাসি দিয়ে ওয়াহাব নামে এক ভুভুজেলা ব্যবসায়ী বলেন, পুলিশ তো নিষেধ করবোই। সিস্টেম করতে হইবো। বাজারে ভুভুজেলা অনেক কমে গেছে। আগের মতো কেউ আর ভয়ে কেনে না। আমরা ফাঁক-ফোকরে বিক্রি করি।
মানিক হোসেন বৈশাখে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেড়াতে এসেছেন ছেলে নিয়ে। ছেলে আশিক বায়না ধরেছে ভুভুজেলার। বাধ্য হয়ে বাবা মানিক ৬০ টাকা দিয়ে একটি ভুভুজেলা কিনে দেন।
তিনি বলেন, ভাবছিলাম ছেলেকে একটা তবলা কিনে দিবো কিন্তু সে ভুভুজেলা দেখে কেনার জন্য ব্যস্ত হয়েছে। কিনে দিতে বাধ্য হলাম।
নিষিদ্ধ ভুভুজেলা বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার বলেন, গত বছর থেকে ভুভুজেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তখন থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা এটার ব্যবহার কমাতে পেরেছি। এরপরও কেউ কেউ চুরি করে বিক্রি করছে। চুরি করে কেউ এমন কাজ করলে মনিটরিং করা সহজ না।
গত ১১ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএমি (বার) পিপিএম বলেন, ভুভুজেলা অনর্থক বিরক্তির সৃষ্টি করে।
এ কারণে ভুভুজেলা বহন বা বাজানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে-বলে ঘোষণা দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
এমসি/এসএনএস