সরেজমিনে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, বাবা-মায়ের হাত ধরে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে শিশুরা। টিকিট কাউন্টারে উপচেপড়া ভিড়।
১ নং টিকিট কাউন্টারের মো. শরিফ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকেই কাউন্টারে প্রচণ্ড ভিড়। টিকেট দিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। এ পর্যন্ত কয়েক হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
উত্তরা থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে বৃষ্টি ও মেলা। তারা জানায়, চিড়িয়াখানায় ঘুরে বিভিন্ন প্রাণী দেখতে তাদের ভালো লাগে। তাই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছে।
তাদের মা রুমানা জানান, চিড়িয়াখানায় খোলা জায়গা থাকায় বাচ্চারা ঘুরে আনন্দ পায়।
নববর্ষ উদযাপন করতে একই রংয়ের শাড়ি পরে চিড়িয়াখানায় এসেছে চার বোন, নীলা, মিনা, কলি ও মিলা। তারা বাংলানিউজকে জানায়, প্রতি বছরই চিড়িয়াখানায় আসে। তবে আগের মতো বাঘ, ভাল্লুক, বানর, হরিণ আর দেখা যায় না।
সম্রাট আকবরের আদেশক্রমে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজী হিন্দু সৌর সন এবং আরবি হিজরি সনের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নতুন বাংলা সনের পঞ্জিকা তৈরি করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ (মতান্তরে ১১ মার্চ) থেকেই এই নতুন প্রবর্তিত সন গণনা শুরু হয়। তবে সম্রাট আকবরের সিংহাসন-আরোহণের বা অভিষেকের স্মরণে ধরা হয়, তার অভিষেক থেকেই এই বাংলা সন গণনা শুরু হয়েছে। অর্থাৎ, ৫ নভেম্বর, ১৫৫৬ ইংরেজি সন থেকেই। সর্বপ্রথম এই বাংলা সনের নামকরণ করা হয়েছিল ‘ফসলি সন’। পরে কালের বিবর্তনে এই ‘ফসলি সন’ই ‘বঙ্গাব্দ’ বা ‘বাংলা সন’ হিসেবে পরিচিতি পেতে শুরু করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
আরএটি/আরআর/এসএইচ