ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পাঁচ তারকার বহুতলে বৈশাখ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
পাঁচ তারকার বহুতলে বৈশাখ লা মেরিডিয়ানের এই বৈশাখী মেলা / ছবি: শাকিল

লা মেরিডিয়ান বৈশাখী মেলা ঘুরে: বৈশাখী মেলার আনন্দ এখানে একটু ভিন্ন। বাউল গানে মেতেছে স্কাই বল রুম। ফুচকা, চটপটি, ঝালমুড়ি আর আবহমান বাংলার ঐতিহ্যগুলো

এক ছাদের নিচে নিয়েই বসেছে লা মেরিডিয়ানের এই বৈশাখী মেলা। পাঁচ তারকার চাকচিক্য থাকলেও লা মেরিডিয়ান হোটেলের নিচ থেকে উপরে চোখে পড়ছে একের পর এক বৈশাখী সাজ।

পহেলা বৈশাখের (১৪ এপ্রিল) দুপুরে লা মেরিডিয়ানের ১৬ তলায় স্কাই বলরুম যখন উৎসবে মাতেয়ারা, কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ ফারজানা সুমি তখন ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছিলেন এসব।  

টিয়া পাখি তুলে দিচ্ছে চিঠি। চিঠির ভেতরে লেখা রয়েছে ভবিষ্যতের কথা। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ এমন সংস্কৃতিও শোভা পেয়েছে এই পাঁচ তারকার বহুতলে।  

নির্বিঘ্ন ঝঞ্চাটহীন পরিবেশ যাদের পছন্দ তাদের মনমতো জায়গা এখানে। এই যেমন চ্যার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ইমতিয়াজ বাছেত। এই উত্তাপের দিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খোলামেলা উদ্যানে যাননি। তাই বলে কোনো অংশেই কমেনি তার বৈশাখী আনন্দ।  

লা মেরিডিয়ানের এই বৈশাখী মেলা

কিন্তু কীভাবে সেটা? বললেন, প্রথমত- নিরাপত্তা, দ্বিতীয়ত- পরিচ্ছন্নতা এবং তৃতীয়ত- ভিড়-ভাট্টা নেই। বাচ্চাদের ইচ্ছেমতো ছেড়ে দিয়ে শান্তি পাচ্ছি।

ফারজানা নিজেও বছর দু’য়েক আগে সোহরাওয়ার্দী ও রমনার মেলায় যেতেন। তুলনা দিয়ে সে অভিজ্ঞতাও বলছিলেন এক ফাঁকে, মেলা শেষে বের হয়ে রিকশা পাওয়া যেতো না। জুতো হাতে নিয়ে হেটে হেঁটে আসতে হয়েছে।  

এখন মানুষ একটু স্বাচ্ছন্দ্য চায়। ঐতিহ্য দেখতে গিয়ে অসহ্য হতে চায় না। এ সুযোগটাই আমরা এখানে দিয়েছি, বলছিলেন সুমি।

‘মানুষ কিন্তু এখন আর বাইরের উত্তাপ ঝুট-ঝামেলা তুলনামূলক কম পছন্দ করছে। অনেকেই এ কারণে বের হয় না। তাদের জন্য ইনডোরে ঐতিহ্যের এমন মেলবন্ধন প্রথম পছন্দ হবেই, কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন সুমি।  

এরই মধ্যে সাক্ষাৎ হয় হেটেলের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে। মেলার আনন্দঘন মুহূর্তগুলো তিনি ধরে রাখছেন ফ্রেমে।

আধঘণ্টার মতো সময় পেরিয়ে যেতেই সামনে এক বিদেশি। যিনি চেহারায় বিদেশি হলেও পোশাকে বাঙালি। লাল পাঞ্জাবিতে মেরিডিয়ানের মহাব্যবস্থাপক আশবানি নায়ার।  

নিজেও দেখভাল করতে এসেছেন বাঙালি সংস্কৃতির এই অনন্য আয়োজন। জানতে চাচ্ছেন কারও কারও অনুভূতি।  

বিলাসবহুল পাশ্চাত্য ধাঁচের সব আয়োজনের মধ্যে হোটেল লা মেরিডিয়ান বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতিকে এভাবে তুলে ধরছে বাইরের অতিথি আর হোটেলে অবস্থানরত দেশি-বিদেশিদের কাছে। এটা শুধু পহেলা বৈশাখেই নয় ঐতিহ্য-সংস্কৃতিগত এমন আয়োজন লা মেরিডিয়ান বরাবরের মতো করে আসছে। এর আগে মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতেও হোটেলের খাবার মেন্যুতে ছিলো ঐতিহ্যবাহী বাংলা খাবার। সব ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অতিথিদের দেওয়া হয়েছিল বিশেষ আতিথেয়তা।

১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের আনন্দ উদযাপনে দেশীয় খাবারের আয়োজন এনেছিল দেশজ সংস্কৃতির বারতা। ছিলো ভোজনরসিক বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ পিঠা উৎসবও।  

ভালোবাসা দিবসকে ঘিরে তিন দিনব্যাপী ভ্যালেন্টাইন্স সপ্তাহ আয়োজন করেছিল লা মেরিডিয়ান ঢাকা। তিন দিনব্যাপী চাইনিজ খাবারের আয়োজন নিয়ে চীনা বসন্ত উৎসবও উদযাপন করেছে হোটেলটি। জন্মষ্টমী উৎসব ঘিরে দুই দিনব্যাপী নিরামিষ আর মিষ্টান্ন খাবারেরও বিশেষ আয়োজন ছিলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
এসএ/এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।