তবে সারাদেশের ব্যবসায়ীরা হালখাতা করলেও এর ব্যতিক্রম দেখা যায় শাঁখারিবাজার ও তাঁতিবাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তারা সরকারি হিসেবে পহেলা বৈশাখের দিনে হালখাতা না করে পঞ্জিকা অনুসারে আগামীকাল অর্থ্যাৎ শনিবার (১৫ এপ্রিল) পালন করবেন।
পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তি এবং ১৫ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ। চাঁদের হিসাব অনুযায়ী পঞ্জিকার তারিখগুলো পড়ে। শাঁখারিবাজার ও তাঁতিবাজার এলাকায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী পঞ্জিকা অনুযায়ী তারা হালখাতা করবেন।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) পুরান ঢাকার শাঁখারিবাজার ও তাঁতিবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এখনও হালখাতার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। চলছে হালখাতার শেষ পর্যায়ের জোর প্রস্তুতি।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাপ-দাদার আমল থেকেই তারা পঞ্জিকা অনুসারে হালখাতা পালন করেন। প্রতি বছর একই নিয়মে পালন করা হয় বলে কেউ বিভ্রান্তিতে পড়েন না।
তাঁতিবাজারের জিৎ গোল্ড হাউজের কর্ণধার হরিদাস পাল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শুক্রবার চৈত্র সংক্রান্তি পালন করছি। শনিবার পহেলা বৈশাখ ও হালখাতা অনুষ্ঠান পালন করবো। প্রতি বছর পঞ্জিকা অনুসারেই আমরা হালখাতা ও পহেলা বৈশাখ পালন করি। হালখাতা অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে শেষ করেছি।
হালখাতার অন্যতম অনুষঙ্গ লাল মলাটের হিসেবের খাতা। তাই শাঁখারিবাজার ও তাঁতিবাজার এলাকায় হালখাতা অনুষ্ঠান উপলক্ষে লাল মলাটের খাতা বিক্রি করছেন অনেকেই।
লালখাতা বিক্রি করতে আসা বিক্রেতা নেপাল দাস বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতিবছরই শাঁখারিবাজার ও তাঁতিবাজার এলাকায় খাতা বিক্রি করি। ১০ টাকা থেকে শুরু করে এক হাজার ৫শ টাকায় বিক্রি হয় খাতা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা এপ্রিল ১৪,২০১৭
এমএ/আরআর/এসএনএস