টিএসসি এলাকায় ৫টা ৫৩ মিনিটে ডজন ডজন পুলিশের বাঁশি বেজে উঠলো একযোগে। মাইকে ঘোষণা আসছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাইরে থেকে আগত সবাইকে ৬টার মধ্যে ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে।
একইসঙ্গে পুলিশের এপিসি কার থেকেও বাজছে সাইরেন। উদ্দেশ্য একই, ছাড়তে হবে এলাকা।
পুলিশের তাড়া যেনো নিমেষেই উৎসবে জল ঢেলে দিলো। দুপুরে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে শাহবাগ, টিএসসি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢল নেমেছিল সাধারণ মানুষের। ঘোরাফেরা করে বিকেলে টিএসসি এলাকায় বসেছিলেন অনেকে। এমন সময় পুলিশের তাড়ায় যেনো বিব্রত সবাই।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মানুষশূন্য করতে বিকাল ৪টা থেকেই মাইকে ঘোষণা শুরু হয়, আর সাড়ে ৪টা থেকে উদ্যানের প্রবেশ ফটকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৫টার পর কার্যত মানুষশূন্য হয়ে পড়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
টিএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছাড়ার ঘোষণায় উৎসব উদযাপনে যেনো অতৃপ্তি রয়ে গেলো।
সন্ধ্যা ৬টার পরই টিএসসি এলাকা ফাঁকা করে দেয় পুলিশ। অথচ এর মিনিট দশেক আগেই এই এলাকা ছিলো জমজমাট।
পুলিশের বাঁশিতে এলাকা ছাড়ার সময় অকেককেই কানে আঙুল দিয়ে সরে যেতে দেখা যায়। এমন একজন নিজ থেকেই বললেন, কী যন্ত্রণা!
তবে সন্ধ্যার আগেই জনতার ভিড় ঠেকানোর প্রশংসাও করলেন কেউ কেউ।
রাজধানীর চকবাজার থেকে আসা আসিফ বলেন, ভালোই করেছে। ঝামেলা ছাড়াই অনুষ্ঠানগুলো শেষ হচ্ছে।
এদিকে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের সময় বেঁধে দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন হয়।
এসময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। এই উৎসবকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়ায় এর স্বকীয়তা নষ্ট হচ্ছে।
নেতারা এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানান। একই বিষয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এসকেবি/আরআর/এসএনএস