বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম ফানুস উৎসবের আয়োজন করেছেন এ শহরের কয়েকজন সংস্কৃতিমনা প্রগতিশীল যুবক।
পরে এ আয়োজনে জড়িয়ে পড়ে শহরের হাজারো মানুষ।
ঘড়ির কাটায় যখন সাড়ে ৭টা, হঠাৎ করে উড়ে গেল একটি ফানুস। এক এক করে বৈশাখের প্রথম সন্ধ্যায় এ শহরের আকাশে উড়ে আরো দুই শতাধিক ফানুস। লাল, নীল, হলুদ, গোলাপীসহ নানান রঙে রঙিন হয়ে উঠলো অন্ধকার আকাশ। কয়েক মুহুর্তে রাজাঝির দিঘীর বুকে ছায়া ফেলে উড়ে যায় শত শত ফানুস।
নাসিম আনোয়ার জাকি নামে আয়োজক কমিটির একজন বাংলানিউজকে জানান, বৈশাখের প্রথম সন্ধ্যায় ফেনীবাসী বছর বরণ করবে ফানুস উড়িয়ে এইটুকু উৎসব কি একটা জনপদে খুব বেশি চাওয়া?
ফেনীর মানুষ নিজেদের কিছুটা অগ্রসর ভাবতে ভালোবাসে-অথচ, নিজেদের একান্ত নিজস্ব কোনোও সার্বজনীন উৎসব নাই। এই শূন্যতা থেকেই এ উৎসবের আয়োজন।
তিনি আরো জানান, প্রতিবছর পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় আপামর ফেনীবাসী একত্র হবে ফেনীর প্রাণ 'রাজাঝির দিঘীর চারপাশ ঘিরে। যারা এখানে আসতে পারবে না, তারা নিজ নিজ জায়গা থেকে একই সময়ে একই সঙ্গে ফেনীর আকাশে ফানুস উড়াবে। একই উপলক্ষে সবার প্রাণে প্রাণে একটা সংযোগ স্থাপন হবে। উৎসব টিকে থাকবে হাজারো বছর, এটাই আমাদের চাওয়া। আমাদের গর্বের মুকুটে যুক্ত হবে নতুন পালক। ফেনীবাসীর 'ফানুসিয়ানা'।
উৎসবে উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুর রহমান বিকম, নাট্য অভিনেতা রোকেয়া প্রাচী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন জাহান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৭
এএটি/আরএ