কালের আবর্তে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এ ঐতিহ্যগুলো।
আজকের প্রবীণেরা শৈশবে এসব খেলাধুলায় সময় কাটিয়েছেন।
বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তন প্রাঙ্গনে বগুড়া থিয়েটারের বৈশাখী মেলায় বিলুপ্তপ্রায় এ খেলাগুলোকে তুলে ধরা হচ্ছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) থেকে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসব।
নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামীণ খেলাধুলাকে নতুন করে পরিচিত করাতে লাঠিখেলা, মোরগ লড়াই, পাতা আনা, সাপ-বেজির খেলা ইত্যাদি ধারাবাহিকভাবে মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে।
বগুড়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহনকারী এসব খেলাধুলা হারিয়ে ফেলতে বসেছি আমরা। মূলত এমন ভাবনা থেকেই গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের সামনে বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে, যেন এসব খেলা সম্পর্কে জানতে পারে তারা। নিজেদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি উদ্ধার ও লালনে যেন মনোযোগী হয়ে ওঠে’।
‘এভাবে হয়তো একদিন গ্রামীণ সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো আবারো স্বমহিমায় ফিরে আসবে’।
আনছার আলী, আজিজুল হক, সালাউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, ‘এক সময় প্রত্যেকটি খেলা গ্রামাঞ্চলের মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। এসব খেলা দেখতে মানুষের ঢল নামতো। গ্রামজুড়ে চলতো আনন্দ-উল্লাস। কিন্তু আগের সে অবস্থা নেই। এসব খেলা এখন সেকেলে হয়ে গেছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে ক্রিকেট, কেরাম, টিভি, মোবাইল ও কম্পিউটার গেমস ইত্যাদি’।
প্রবীণ এ ব্যক্তিরা মনে করেন, ‘গ্রামীণ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই সরকারের ভালো কোনো উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগও বড় প্রয়োজন। তাতে নতুন প্রজন্ম এসব খেলাধুলা সম্পর্কে জানতে পারবে। পাশাপাশি বাঙালি জাতি ফিরে পাবে তার নিজস্ব সংস্কৃতি’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৭
এমবিএইচ/এএসআর