ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সারুলিয়াবাসী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সারুলিয়াবাসী কারখানার বর্জ্যে ভরাট খাল-ছবি শাকিল আহমেদ

ঢাকা: খালের চারপাশে টেক্সটাইল ও ডায়িং কারখানার বর্জ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। খালের পানিতে মিশছে কারখানার দূষিত রঙিন পানিও। নোংরা পানির দুর্গন্ধে আশপাশের বাসিন্দাদের নাকে কাপড় চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। 

কারখানার বর্জ্যে খালগুলো যেমন ভরাট হচ্ছে, তেমনি এর দূষিত কালো পানিতে স্বাস্থ্যহানি ঘটছে আশপাশের বাসিন্দাদের।  

কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সারুলিয়াবাসী-ছবি-শাকিল আহমেদরাজধানীর সারুলিয়া ইউনিয়নের সারুলিয়া, পশ্চিম হাজীনগর, বামৈল ও বাঁশেরপুল এলাকার বিভিন্ন খালপাড়ের সাধারণ চিত্র এটি।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব কারখানার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।  

হাজীনগরে সরেজমিনে দেখা গেছে, কয়েকটি কারখানার রঙিন দূষিত পানি খালের পানিতে মিশছে। চারপাশের নোংরা-আবর্জনা পচে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।  

কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সারুলিয়াবাসীস্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এসব কারখানার দূষিত পানিতে চর্মরোগসহ নানা ধরনের জটিল রোগ দেখা দিয়েছে। মশার উপদ্রব তো আছেই।

স্থানীয় বাসিন্দা মোর্শেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা এখানে খুব অসুবিধায় আছি। নতুন ঢেউটিনগুলোর সাদা আবরণ কিছুদিন যেতে না যেতেই মরিচা পড়ে যায়। শরীরে খোস-পাঁচড়া লেগেই থাকে। মশার উপদ্রবে বাসায় থাকতে পারি না’।  

কারখানার বর্জ্যে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সারুলিয়াবাসী-ছবি-শাকিল আহমেদমোর্শেদ বলেন, এসব ডায়িং কোম্পানির মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৭
আরআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।