ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও দেখা মিলছে না গণপরিবহনের। যাত্রীরা অভিযোগ করে বলছেন রাজধানীতে এখন কার্যত পরিবহন ধর্মঘট চলছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ি, ফার্মগেট ও বিজয়সরণির ব্যস্ততম সড়কগুলো ঘুরে দেখা যায়, যেখানে অন্যদিন গণপরিবহনের সৃষ্ট যানজটের কারণে সাধারণ পথচারীরা এসব সড়কে হাঁটার সুযোগ পেতেন না। সেখানে আজ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও গণপরিবহনের দেখা মিলছে না। ফলে কর্মস্থলগামী মানুষদের পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন ভোগান্তি।
আর গণপরিবহন কম থাকার কারণে এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির সিএনজি চালক মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছেন। সব মিলিয়ে সিটিং সার্ভিস বন্ধে স্বস্তির জায়গা ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
যাত্রীদের কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাত্রী আছে কিন্তু পরিবহন নেই। সকাল থেকে এমন অবস্থা চলছে। পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তই ঘুরে ফিরে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিবহন মালিক শ্রমিকরা কি জনগণ ও সরকারের থেকেও শক্তিশালী?- প্রশ্ন তাদের।
মতিঝিল যাওয়ার উদ্দেশে খামারবাড়ি মোড়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মুসলে উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এইটা কী হচ্ছে রাজধানী জুড়ে। কোথাও কোনো গণপরিবহন নেই। সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা তো এখন জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়েও একটি বাসের দেখা মিলছে না।
বনানী যাওয়ার জন্য বিজয় সরণি মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী সবুজ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর থেকে গাজিপুরগামী বিকাশ ও ভিআইপি ২৭ পরিবহনের একটি বাসেরও দেখা মিলছে না। পরিবহনগুলোর এই কৌশল দেখে তো মনে হচ্ছে তারা ধর্মঘট পালন করছে।
পরিবহন কম থাকার বিষয়টি নিয়ে গণপরিবহনের চালকরা বলছেন, সিটিং সার্ভিসে যে সব পরিবহন চলতো সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় তারা এখন আর গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন না। সিটিং সার্ভিস চালু না হলে মনে হয় তারা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামবেন না।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে সাইনবোর্ডগামী সময় পরিবহনের চালক রশিদ বাংলানিজকে বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে শুনেছি সিটিং চালু না হলে এই সব পরিবহনের মালিকরা গাড়ি রাস্তায় নামাবেন না। তারা ইচ্ছা করেই গাড়ি রাস্তায় নামাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭,২০১৭
এমএ/আরআই